শিরোনাম
◈ জিয়াউর রহমানের সময়ই দেশে বিভেদের রাজনীতির গোড়াপত্তন হয়: ওবায়দুল কাদের  ◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল ◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন

প্রকাশিত : ০২ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:৪৯ দুপুর
আপডেট : ০২ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:৪৯ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] সাত বছর পর হলমার্ক ঋণ জালিয়াতির অনুসন্ধানে দুদক

ইসমাঈল ইমু : [২] মঙ্গলবার দুদক কমিশনার ড. মোজাম্মেল হক খান বলেন, হলমার্কের নন-ফান্ডেড অংশ অনুসন্ধানের জন্য কমিশনের পরিচালক মীর মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন শিবলীর নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। যদিও এটিকে নন-ফান্ডেড বলা হয়েছিল, কিন্তু এর পুরোটাই ফান্ডেড। ইতোপূর্বে দুর্নীতি দমন কমিশন এই অংশের ওপরে একটি মামলাও দায়ের করেছিল।

[৩] দুদকের এই কর্মকর্তা বলেন, বর্তমানে কমিটি পুনর্গঠনের কারণ হলো, যে ৪১টি ব্যাংক এবং শাখায় এই আর্থিক লেনদেনগুলো হয়েছে, সেখানে জাল-জালিয়াতির কোনও আশ্রয় নেওয়া হয়েছে কি না, কোনও দুর্নীতি ঘটেছে কি না এই বিষয়গুলো পুনরায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা। কমিটি অনুসন্ধান করে যে প্রতিবেদন দাখিল করবে, কমিশন তা পর্যালোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে।

[৪] দুদক সূত্রে জানা গেছে, হলমার্ক গ্রুপ ফান্ডেড ও নন-ফান্ডেড ঋণ সুবিধার অংশ হিসেবে জালিয়াতি করে প্রায় সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিল। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর ২০১২ সালে হলমার্কের বিরুদ্ধে মোট ৩৮টি মামলা করেছিল দুদক। প্রায় সবগুলো মামলার চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে আদালতে। কিন্তু হলমার্ক ২০১০ সাল থেকে ২০১২ সালের মধ্যে নন-ফান্ডেড যে এক হাজার ২০০ কোটি টাকা ঋণসুবিধা নিয়েছিল, সেটির তদন্ত তখন স্থগিত রাখা হয়েছিল।

[৫] জানা গেছে, হলমার্কের ঋণের নন-ফান্ডেড অংশের আওতায় সোনালী ব্যাংকের ব্যাক-টু-ব্যাক ক্রেডিট চিঠি গ্রহণের পরে কমপক্ষে ৩৭টি দেশি ও বিদেশি ব্যাংক হলমার্ক গ্রুপকে ঋণ সুবিধা দিয়েছিল। দুদকের অনুসন্ধান চলাকালে ২০১৪ সালে হলমার্ক গ্রুপের আত্মসাৎ করা অর্থ আদায় করার স্বার্থে বাংলাদেশ ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক ও দুর্নীতি দমন কমিশনের মধ্যে বেশকিছু ত্রিপক্ষীয় চিঠি আদান-প্রদান করা হয়। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সেসময় নন-ফান্ডেড অংশের ঋণ আদায়ের সুবিধার্থে দুদকের তদন্ত স্থগিত রাখতে অনুরোধ করে। এছাড়া কমিশনের কর্মকর্তাদের বদলি, পদোন্নতি, অবসরজনিত নানা কারণে অনুসন্ধানটি সেসময় সম্পন্ন করা যায়নি।

[৬] গত সপ্তাহে আগের ওই কমিটিকে পুনর্গঠন করে নন-ফান্ডেড অংশটির অনুসন্ধান সম্পন্ন করার উদ্যোগ নিয়েছে কমিশন। নতুন এই অনুসন্ধান কমিটির প্রধান হচ্ছেন কমিশনের পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলী। অনুসন্ধান দলের অপর সদস্যরা হলেন— উপপরিচালক এস এম আক্তার হামিদ ভূঁইয়া, মশিউর রহমান ও সেলিনা আক্তার মনি, সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন ও সিলভিয়া ফেরদৌস এবং উপসহকারী পরিচালক সহিদুর রহমান ও আফনান জান্নাত কেয়া।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়