ডেস্ক রিপোর্ট: বর্ষা মৌসুমের পর পদ্মার পানি কমে জেগে উঠেছে বিশাল চর। দুই প্রান্তেই ঘাট (পন্টুন) সমস্যার কারণে গত প্রায় দুই মাস ধরে ওই রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এ অবস্থায় নতুন ঘাট পর্যন্ত ধু ধু বালুচরের মধ্য দিয়ে যাতায়াতের একমাত্র ভরসা হয়ে উঠেছে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঘোড়াগাড়ি।
দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোর সঙ্গে পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোর মানুষের যোগাযোগের অন্যতম একটি মাধ্যম রাজবাড়ীর জৌকুড়া ফেরিঘাট। সেখানে গেলে এমন দৃশ্যই চোখে পড়ে।
জানা যায়, পায়ে হাঁটা ছাড়া আর কোনো বিকল্প না থাকায় যাত্রীরা ঘোড়াগাড়িতে করেই ঘাট পর্যন্ত আসা-যাওয়া করেন। প্রতিদিন ১০-১২টি ঘোড়াগাড়ি যাত্রী পারাপার করে। সময় বিশেষে ভাড়া নেয়া হয় ৩০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত।
রাজবাড়ীর জৌকুড়ায় যেখানে ফেরিঘাট ছিল, নদী শুকিয়ে তার থেকে অনেক দূরে চলে যাওয়ায় প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে নতুন করে ঘাট স্থাপনের কাজ চলছে। ফেরি না চললেও সেখানকার খেয়াঘাট থেকে ইঞ্জিনচালিত ট্রলার ও নৌকায় ওই রুটের যাত্রীরা নদী পার হয়ে গন্তব্যে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে জৌকুড়া ফেরিঘাটের ঘোড়াগাড়িচালক আবদুল খালেক বলেন, আমরা ঘোড়াগাড়িতে করে খেয়াঘাট পর্যন্ত যাত্রীদের আনা-নেয়া করছি। এতে আমাদের পাশাপাশি যাত্রীরাও লাভবান হচ্ছেন। কারণ এই বালুচরের ওপর দিয়ে অন্য কোনো গাড়ি চলতে পারে না। একমাত্র বিকল্প পায়ে হেঁটে চলাচল করা, যা অধিকাংশ মানুষের কাছেই কষ্টসাধ্য ব্যাপার।
রুমানা নামে এক যাত্রী বলেন, আমাকে মাঝেমধ্যেই এই রুট দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। এই ঘোড়াগাড়ি থাকাতে উপকারই হয়েছে। পায়ে হেঁটে যাওয়া-আসার কষ্টটা পেতে হচ্ছে না, আবার ঘোড়াগাড়িতে চড়লে আনন্দও লাগে।
রাজবাড়ী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী (চ.দা.) কেবিএম সাদ্দাম হোসেন বলেন, গত ২-৩ বছর ধরে পদ্মায় ভয়াবহ নাব্যতার সৃষ্টি হচ্ছে।
বর্ষা মৌসুম শেষে নদীর পানি কমে বিশাল অংশজুড়ে চর জেগেছে। সে জন্য আড়াই কিলোমিটারের মতো ঘাট সরিয়ে নিয়ে ফেরিঘাট স্থাপনের কাজ চলছে। যুগান্তর
আপনার মতামত লিখুন :