শিরোনাম
◈ গাজায় মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষ চলছে, দায়ী ইসরায়েল: ইইউ ◈ রাখাইনে আরো একটি শহর দখল করেছে আরাকান আর্মি ◈ পঞ্চগড় এক্স‌প্রেস ট্রেনের ব‌গি চার ঘণ্টা পর উদ্ধার, ট্রেন চলাচল স্বাভা‌বিক ◈ বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা ◈ সীমান্তে হত্যাকাণ্ড নিয়ে সরকার টু শব্দ করার সাহস পাচ্ছে না: বিএনপি ◈ এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে সোমালিয় পুলিশ ও বহুজাতিক নৌবাহিনী ◈ জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ডিবিতে অভিযোগ করলেন জবি ছাত্রী ◈ ঈদের পর কাওরান বাজার যাবে গাবতলীতে: মেয়র আতিক ◈ আবদুল্লাহ জাহাজে থাকা কয়লায় দুর্ঘটনার ঝুঁকি নেই: এস আর শিপিং ◈ পাপেট সরকার ক্ষমতায় না আসা পর্যন্ত সব নির্বাচন ত্রুটিপূর্ণ বলবে যুক্তরাষ্ট্র: জয় 

প্রকাশিত : ০১ ডিসেম্বর, ২০২০, ০৬:১৯ সকাল
আপডেট : ০১ ডিসেম্বর, ২০২০, ০৬:১৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নারীবাদী সংগঠনগুলোর সমালোচনার জবাব দিল হাইকোর্ট

ডেস্ক রিপোর্ট: বিয়ের প্রলোভনে দেশে ধর্ষণের ঘটনা বেড়েই চলেছে। তেমনি একটি ঘটনা ঘটে ফেনীতে। ছেলে ও মেয়ের মধ্যে দুই বছরের প্রণয়ের পর বিয়ের প্রলোভনে অভিযুক্ত জিয়াউদ্দিন ধর্ষণ করে মেয়েটিকে। কিন্তু বিয়ে করতে অস্বীকার করায় দায়ের হয় মামলা। ঐ মামলায় কারাগার থেকে ভিকটিমকে বিয়ে করার শর্তে জামিন চান আসামি। ভিকটিমের সম্মতি থাকলে কারাফটকে বিয়ের আয়োজন করতে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। উচ্চ আদালতের এ সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে নারীবাদী সংগঠনগুলো। ইত্তেফাক

সোমবার (৩০ নভেম্বর) এ সংক্রান্ত মামলার শুনানিকালে ঐ সমালোচনার জবাব দিয়ে হাইকোর্ট বলেছে, যে যাই সমালোচনা করুক, আমরা এ ধরনের বিয়ের সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক দৃষ্টিতেই দেখছি।

আদালত বলেন, প্রযুক্তির কারণে সমাজে মানুষের মধ্যে সম্পর্ক গড়তেও সময় লাগে না, আবার ভাঙতেও সময় লাগে না। এখন আমাদের দেশে ডিভোর্সের সংখ্যা অনেকাংশে বেড়ে গেছে। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ গতকাল সোমবার এ মন্তব্য করেন।

হাইকোর্ট জিয়াউদ্দিনকে এক বছরের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেয়। আদালত বলেন, অভিযুক্ত যদি শুধু জামিন পাওয়ার জন্যই বিয়ে করে থাকে তাহলে জামিন বাতিল হবে। এ কারণে বিষয়টি আমরা এক পর্যবেক্ষণে রাখলাম। গতকাল জিয়াউদ্দিনের জামিন শুনানিতে বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম বলেন, আমাদের আদেশ নিয়ে সমালোচনা করেছে নারীবাদী সংগঠনগুলো। আমরা তো নানাভাবে সমালোচিত হচ্ছি। আসলে ব্যক্তিগতভাবে দুই-একটি পত্রিকার রিপোর্ট দেখে খুব অফেন্ডেড হয়েছি। আবার নারীবাদী কিছু সংগঠন তো বলছে—এ ধরনের বিয়েতে ধর্ষকরা উত্সাহিত হবে। আমরা তো ধর্ষকের সঙ্গে ধর্ষণের শিকার মেয়ের বিয়ে দিতে বলিনি। ছেলেটি বিয়ের শর্তে জামিন চেয়েছে। এরপরই আমরা আদেশ দিয়ে বলেছি, মেয়েটির সম্মতি থাকলে বিয়ে হতে পারে। পরে ছেলে ও মেয়ের সম্মতিতেই বিয়ে হয়েছে।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী বলেন, এখন মেয়েটি যেন তার সম্মান নিয়ে সংসার করতে পারে সে বিষয়ে কোর্টের দৃষ্টি রাখা দরকার। যাতে পরে সংসার ভাঙার বেদনায় তাকে পড়তে না হয়। এ পর্যায়ে জ্যেষ্ঠ বিচারপতি বলেন, ঘর সংসার কি আইনের কঠোরতা দিয়ে রক্ষা করা যাবে। ১৫/২০ বছর সংসার করার পরও ঘর ভেঙে যাচ্ছে। সব থেকে বড় কথা হলো দুজনের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়াটাই আসল।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়