[২]প্রযুক্তির বিকাশে কমেছে কার্ড বিনিময়, তুমুল চলছে ভার্চুয়াল শুভেচ্ছাইসমাঈল ইমু: [৩] রাজধানীর বিভিন্ন ছাপাখানায় ইংরেজি নতুন বর্ষবরণকে কেন্দ্র করে কার্ড, ক্যালেন্ডার, নোটবুকের মতো উপহার সামগ্রী তৈরির কাজ চলছে। পাশাপাশি পাঠ্যপুস্তক ছাপার কাজও চলছে। তবে বছরজুড়ে পোষ্টার ফেস্টুন আর ছাপাখানায় কাগজে হয়না, তৈরি হয় ডিজিটাল মেশিনে প্লাস্টিকের পেপারে। [৪] রাজধানীর নয়াবাজার, মতিঝিল, আরামবাগ, ফকিরাপুল, নীলক্ষেত, বাংলাবাজার, আজিমপুরের ছাপাখানাগুলোর সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কর্পোরেট পর্যায়ে ব্যবহার বাড়লেও, প্রযুক্তির বিকাশে অনেকটাই কমেছে ব্যক্তি-পর্যায়ে কার্ড বিনিময়ের রেওয়াজ।
[৫] প্রিয়জনকে উপহার দেয়া কিংবা কর্পোরেট সম্পর্ক জোরদারে, নতুন বছরের শুভেচ্ছা বিনিময়ের রেওয়াজ বেশ পুরনো। আর এজন্য ভোক্তা-পছন্দের শীর্ষে থাকে নিউ-ইয়ার কার্ড, ডায়েরি, ক্যালেন্ডার আর নোটবুকের মত উপহার সামগ্রী। তবে ভার্চ্যুয়াল শুভেচ্ছা জানানোর এই যুগে কার্ড-ক্যালেন্ডারের দোকানে এখন আর তেমন চোখে পড়ে না তরুণ প্রজন্মকে।
[৬] পার্সোনাল কার্ডের চাহিদা আগের মত নেই। কিন্তু কর্পোরেট গ্রিটিংস কার্ডের প্রচলন রয়েছে এখনো। অক্টোবর থেকে জানুয়ারি এই চার মাস আমাদের ব্যবসায় খুব চাপ থাকে। এসব উপহার সামগ্রী তৈরিতে রং আর আকার বৈচিত্রে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে ভোক্তার রুচিকে।
[৭] পল্টনের জাকির প্রিন্টার্সের মালিক জাকির হোসেন বলেন, আমরা মূলত বছরের পুরোটা সময় ডায়েরি, ক্যালেন্ডার ও বই ছাপার কাজ করি। নির্বাচন বা কোনো দিবসে পোস্টার তৈরির কাজ বেশি আসে। কিন্তু এবার নির্বাচন ও খ্রিস্টীয় নববর্ষের কাজ একসঙ্গে পড়ায় হিমশিম খেতে হচ্ছে। সম্পাদনা: রায়হান রাজীব