শিরোনাম
◈ অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধে বিটিআরসিতে তালিকা পাঠানো হচ্ছে: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ◈ পাবনায় হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ জলাবদ্ধতা নিরসনে ৭ কোটি ডলার ঋণ দেবে এডিবি ◈ ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী আরও হিংস্র হয়ে উঠেছে: মির্জা ফখরুল ◈ বেনজীর আহমেদের চ্যালেঞ্জ: কেউ দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে তাকে সব সম্পত্তি দিয়ে দেবো (ভিডিও) ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট স্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ আইনজীবীদের গাউন পরতে হবে না: সুপ্রিমকোর্ট ◈ তীব্র গরমে স্কুল-কলেজ ও মাদরাসা আরও ৭ দিন বন্ধ ঘোষণা ◈ সিরিয়ায় আইএসের হামলায় ২৮ সেনা নিহত ◈ সরকার চোরাবালির ওপর দাঁড়িয়ে, পতন অনিবার্য: রিজভী 

প্রকাশিত : ০১ ডিসেম্বর, ২০২০, ০৭:২৬ সকাল
আপডেট : ০১ ডিসেম্বর, ২০২০, ০৭:২৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আবদুন নূর তুষার: অনেকদিন ধরে সেকেন্ড ওয়েভ শুনতে শুনতে বিরক্ত হয়ে গিয়ে এই লেখাটি লিখছি, প্রথম ওয়েভ কী?

আবদুন নূর তুষার: প্রথম ওয়েভ হলো যেদেশে যেদিন প্রথম কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে সেদিন থেকে যেদিন সেই একই দেশে রোগী থেকে রোগীতে সংক্রমণের হার বা আর নট ১ বা তার কাছাকাছি পৌঁছায় অথবা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কথা অনুযায়ী সংক্রমণের হার পরীক্ষার অনুপাতে শতকরা ৫ শতাংশ এর নিচে আসে। যেসব দেশ প্রথম ওয়েভ শেষ করেছে তাদের কারো কারো ৫০ দিনও জিরো কেস ছিলো। বাংলাদেশে আর নট বা একজন রোগী থেকে গড়ে কতোজনে এটা ছড়ায় সেটা আমরা এখনো জানি না। আমরা এমন কোনোদিন কাটাই নেই যেদিন কোনো রোগী ধরা পড়ে নেই। আমাদের টেস্ট অনুপাতে সংক্রমণের হার তেমন একটা কমেনি। তাই আমাদের দেশে কোনো সেকেন্ড ওয়েভ শুরু হয়নি। সেকেন্ড ওয়েভ কাদের দেশে শুরু হয়? যারা প্রথম ওয়েভকে কার্যকরীভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।

কারণ তারা লকডাউন, চিকিৎসা, আইসোলেশন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, এসব করেই রোগটিকে প্রথম ধাক্কায় নিয়ন্ত্রণ করেছিলো। তাই সেকেন্ড ওয়েভ নিয়ন্ত্রণ করাতেও তারা বেশি সফল হবে, এটাই স্বাভাবিক। আমাদের দেশে কোনো সেকেন্ড ওয়েভ শুরু হয়নি। আমাদের ঢেউ প্রথমটাই চলছে। আর আমরা কী কী করেছি নিশ্চয় এতো সহজে ভুলেননি। নকল মাস্ক পিপিইর ব্যবস্থা করেছি। ডাক্তারদের ধমকাধমকি করেছি। লকডাউন মানিনি। লকডাউনের মধ্যে ‘সীমিত’ সবকিছুই করেছি। গণপরিবহন খোলা রেখেছি। হাঁটিয়ে গার্মেন্টসকর্মীদের ঢাকা আনা নেওয়া করেছি। শপিং মল খুলে ঈদে সীমিত শপিং করেছি। ঈদে বাড়ি যাতায়াত করেছি। ঢাকা নারায়ণগঞ্জ ইনফেকশনের এপিসেন্টার হওয়ার পরেও এখানে কোনো জোরালো ব্যবস্থা নেইনি। রাজাবাজার ওয়ারীতে হাস্যকর লাল নীল হলুদ সবুজ কাণ্ডকারখানা করেছি। জেকেজি, সাহেদ জাতীয় চোরদের সুযোগ দিয়েছি। বিশ্বব্যাংকের প্রকল্পতে গাড়ির পার্টস বিক্রেতার কাছ থেকে সরঞ্জাম কিনেছি।

কাঁচাবাজারের ফ্লোরে আইসোলেশন ইউনিট বানিয়েছি। গবেষণার ফলাফল ঘোষণা করে পরের দিন সেটা প্রত্যাহার করেছি। পরীক্ষার কিট বানানো নিয়েও বানানো নিয়ে মহা হুলুস্থুল করেছি। আমরা মাস্ক পরি না। স্বাস্থ্যবিধি মানি না। তাই আমাদের কোনো সেকেন্ড ওয়েভ নেই। আমেরিকাতে ডা. ফাউচিও বলেছেন, সেখানেও কোনো সেকেন্ড ওয়েভ নেই। হয়তো একটা দুটি স্টেটে আলাদাভাবে এটা বলা যেতে পারে। কিন্তু দেশ বিবেচনায় আমেরিকা প্রথম প্রবাহেই আছে। আমার মামার বাড়িতে অবান্তর কথাকে বলে ‘ছাতার মাথা’ বলা। আমিও বলি, সেকেন্ড ওয়েভয়ের নামে এসব ‘ছাতার মাথা’ না বলে স্বাস্থ্যবিধি মানেন। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়