উত্তম হাওলাদার: [২] পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় মুক্তিযোদ্ধা শাহ আলমকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করার ঘটনায় আওয়ামীলীগ নেতা ও টিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান শিমু ও তার স্ত্রী বিএনপি নেত্রী এলিজা বেগমসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার রাতে উপজেলার চাকামাইয়া ইউনিয়নের স্ত্রীর নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সোমবার দুপুরে তাদের কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
[৩] পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এক লক্ষ টাকা চাদার দাবীতে বীরমুক্তিযোদ্ধা শাহ আলমের চাকামইয়ার ইটভাটা অফিসে হামলা চালায় টিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান শিমু মীরা, স্ত্রী এলিজা বেগমসহ ১০/১২ জন দুর্বৃত্ত।
[৪] এ সময় জহিরুল,সবুজ খলিফা,রুবেল,আবদুর রহমানসহ ১০/১২ জনের সন্ত্রাসী দলটি শাহ আলমকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে পা এবং হাতে মারাত্মক জখম করে। তাৎক্ষণিক স্থানীয়রা শাহ আলমকে উদ্ধার করে প্রথমে কলাপাড়া পরে পটুয়াখালী হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিমে প্রেরণ করেন।
[৫] আহত মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সিদ্দিকুর রহমান জানান,শনিবার রাতে তার মা আকলিমা বেগম বাদী হয়ে টিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান শিমু মীরাকে প্রধান আসামী করে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ১০/১২ জনের নামে কলাপাড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
[৬] কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান,হামলার পর পরই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। পরে হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ টিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান শিমু মীরা এবং তার স্ত্রী এলিজা সহ ৫ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওসি বলেন অপরাধী যেই হোক তাঁকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেয়া হবে।
[৭] এদিকে চেয়ারম্যান শিমুকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে কলাপাড়া থানার সম্মুখসহ পৌরশহরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে তার অনুসারীরা। সম্পাদনা: সাদেক আলী
আপনার মতামত লিখুন :