অহিদ মুকুল: [২] সারা দেশের ন্যায় নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় শীত মৌসুম শুরু হয়েছে । এ অঞ্চলের মানুষের শীতের প্রধান আর্কষন গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী শীত মৌসুমের প্রিয় খেজুরের রস অনেকটায় বিলুপ্তির পথে ।
[৩] এ মৌসুমে এক সময় গ্রাম বাংলার প্রতি ঘরে ঘরে রস দিয়ে ফিন্নি, পায়েশ , রসের গুড় দিয়ে ভাঁপা পিঠা ,ছাই পিঠা , ফুয়াঁ পিঠা এবং গাড় রস দিয়ে তৈরী করে মুড়ি চিড়া খৈয় ছিতল পিঠা সহ হরেক রকম পিঠা পুলির মহা উৎসব চলত ঘরে ঘরে ।কালের বিবর্তনে ক্রমান্বয়ে স্মৃতির পাতায় ধাবিত হচ্ছে খেজুর গাছের রস ।
[৪] আগেশার সময়ে ভোরে গাছিরা রস নিয়ে শহরে এসে ফেরী করে রস বিক্রি করে জীবিকা র্নিবাহ করত। এখন আর প্রত্যান্ত অব্জল থেকে আসা গাছিদের কথা শুনা যায়না ,“এ রস লাগবে রস”। শীতের শুরুতে দেখা যায় অযত্নে অবহেলায় পথে প্রান্তরে থাকা খেজুুর গাছের রস তৈরীতে প্রাথমিক প্রস্তুতি নিয়ে ও নেই রাস্তার পাশে ভরা সারি সারি গাছ ,পথেঘাটে বাজারে দেখা যায়না আঁড়ি আঁড়ি রস । নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার গ্রামে ঘুরে দেখা যায় অবহেলায় অযত্নে বিলুপ্তির পথে। ঐতিহ্যবাহী মধু বৃক্ষ খেজুর গাছ ।
[৫] খেজুর গাছের রস হারিয়ে যাওয়ার বিষয়ে সুবর্ণচরের পাংখার বাজারের এক সময়ের গাছি ছাদু মিয়া, রমজান আলী বলেন প্রধানতঃ রাস্তা গুলো সংস্কার ও আবহাওয়াজনিত কারনে খেজুর গাছ মরে যাওয়ায় নতুন করে কেউ গাছ লাগাতে চায়না ।এ ছাড়া গাছ প্রস্তুতের মজুরী আগে যেখানে লাগত ২০/৩০ টাকা এখন গাছ প্রস্তুতে প্রতি গাছে লাগে ২০০/২৫০ টাকা ।
[৬] এ ছাড়াও রাত্রে পাহারা দিতে হয়। তা না হলে চোরেরা রস চুরি করে নিয়ে যায়, আবার পাহারাদার কে ও দিতে হয় প্রতি রাত্রে মজুরি ৩০০/৩৫০ টাকা। এ সব কারনে খেজুর গাছ কেটে রস আহরন থেকে বিরত থাকছে অনেকে। মুলতঃ এসকল কারনে সুবর্ণচর থেকে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিয্যবাহী সুস্বাধু খেজুর গাছের রস। সুবর্ণচর বাসি বঞ্চিত হচ্ছে আগের মত শীতের মহোৎসব থেকে। সম্পাদনা: সাদেক আলী
আপনার মতামত লিখুন :