শিরোনাম
◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ সাভারে শো-রুমের স্টোররুমে বিস্ফোরণ, দগ্ধ ২ ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ চলচ্চিত্র ও টিভি খাতে ভারতের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের

প্রকাশিত : ৩০ নভেম্বর, ২০২০, ১২:৩৪ দুপুর
আপডেট : ৩০ নভেম্বর, ২০২০, ১২:৩৪ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বিদেশি পরামর্শক ছাড়াই শ্রীকাইল গ্যাসকূপ উন্নয়ন করল বাপেক্স

ডেস্ক রিপোর্ট : বিদেশি পরামর্শক ছাড়াই নিজস্ব জনবলে কুমিল্লার শ্রীকাইল গ্যাসক্ষেত্রে কূপ উন্নয়ন করল রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বাপেক্স। ফলে গ্যাস ক্ষেত্রটি থেকে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে দৈনিক আরও ১ কোটি ঘনফুট গ্যাস। ক্রমবর্ধমান জ্বালানি সংকটে এটিকে নতুন সম্ভাবনা উল্লেখ করে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্থলভাগে গ্যাস অনুসন্ধানে বিদেশি কোম্পানিকে নয়, বরং বাপেক্সকেই কাজে লাগাতে হবে। সময় টিভি

গ্যাসক্ষেত্রে প্রবল বেগে জ্বলে ওঠা আগুন জানান দিচ্ছে নতুন সম্ভাবনার। কুমিল্লার শ্রীকাইল গ্যাসক্ষেত্রের ৪ নম্বর কূপ উন্নয়ন করে কেন্দ্রটির সক্ষমতা আরও বাড়াল রাষ্ট্রায়ত্ত তেল গ্যাস কোম্পানি বাপেক্স। গ্যাসক্ষেত্রটি থেকে আগে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হতো দৈনিক ২৮ মিলিয়ন ঘনফুটের মতো। কূপ উন্নয়নের ফলে এখন উৎপাদন করা যাবে ৪০ মিলিয়ন ঘনফুট। বিদেশি কোনো পরামর্শক ছাড়াই নিজস্ব জনবল দিয়ে নির্ধারিত সময়ের বেশ আগেই কূপ উন্নয়নের কাজ শেষ করেছে বাপেক্স।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব আনিছুর রহমান বলেন, এখন পর্যন্ত বিদেশি বিশেষজ্ঞের প্রয়োজন হয়নি। ৯০ দিন সময় ছিল, ৫১/৫২ দিনের মধ্যেই উনারা কাজটা সম্পন্ন করেছেন।

সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে শ্রীকাইল গ্যাসক্ষেত্রের এক নম্বর কূপ ঘিরেও। প্রসেস প্লান্টের প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে এ কূপে গ্যাস মিললেও পাইপলাইন না থাকায় এখনও তা যুক্ত করা যাচ্ছে না জাতীয় গ্রিডে। জ্বালানি বিভাগের আশা, ৫ মাসের পাইপলাইন নির্মাণ করে গ্যাসক্ষেত্রটির এক নাম্বার কূপ থেকে সরবরাহ করা যাবে দৈনিক ১০ মিলিয়ন গ্যাস। সব মিলিয়ে এপ্রিল-মে মাসে গ্যাসক্ষেত্রটি যোগান দিতে পারবে দৈনিক ৫০ মিলিয়ন বা ৫ কোটি ঘনফুট গ্যাস।

শ্রীকাইল গ্যাসক্ষেত্র থেকে নতুন করে গ্যাস পাওয়াকে সংকটের বিপরীতে আশার আলো হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি স্থলভাগে গ্যাস অনুসন্ধানে বিদেশি কোম্পানিগুলোর তুলনায় বাপেক্সই সক্ষম, সেটির প্রমাণ বলেও মত বিশেষজ্ঞদের।

ভূতত্ত্ববিদ ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. বদরূল ইমাম বলেন, যে বিদেশি কোম্পানিগুলোকে দিয়ে গ্যাস উত্তোলন করা হচ্ছে তার কোনো প্রয়োজন নাই। এভাবে যদি বাপেক্স তার কার্যক্রম চালিয়ে যায় তাহলে গ্যাসের সংকট কমবে এবং উচ্চমূল্যের এলএনজি আমদানি কমে যাবে।

২০০৪ সালে কূপ খনন হলেও গ্যাস মিলেনি। পরবর্তীতে ২০১২ সালে কূপ ২ খননের মাধ্যমে গ্যাসক্ষেত্রটি আবিষ্কার করে বাপেক্স।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়