শিরোনাম
◈ ফরিদপুরে বাস-পিকআপ মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ১২  ◈ ইরানের হামলার জবাব দেবে ইসরায়েল: সেনাপ্রধান ◈ সৌদিতে কোরবানি ঈদের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা ◈ শ্রম আইন লঙ্ঘনের সাজাপ্রাপ্ত মামলায় স্থায়ী জামিন চাইবেন ড. ইউনূস ◈ ছুটি শেষে ঢাকায় ফিরছে কর্মজীবী মানুষ ◈ স্বাস্থ্যখাতে নতুন অশনি সংকেত অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স: স্বাস্থ্যমন্ত্রী  ◈ কৃষি খাতে ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে তিন  বছরে সাড়ে ৩৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ ◈ বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬.১ শতাংশ: এডিবি ◈ বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে বিজিপির ১৪ সদস্য ◈ ৬০ লাখ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলার তালিকা প্রকাশ করুন: মির্জা ফখরুলকে ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত : ২৯ নভেম্বর, ২০২০, ০৭:২৭ সকাল
আপডেট : ২৯ নভেম্বর, ২০২০, ০৭:২৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পঞ্চগড় হানাদার মুক্ত দিবস আজ

ডেস্ক রিপোর্ট: আজ ২৯ নভেম্বর। পঞ্চগড় হানাদার মুক্ত দিবস আজ। ১৯৭১ সালের এই দিনে সাড়ে সাত মাস যুদ্ধ শেষে পাকিস্তানের হানাদার বাহিনী থেকে মুক্ত হয় পঞ্চগড়। ফলে প্রতি বছরের ২৯ নভেম্বর এ জেলায় হানাদার মুক্ত দিবস পালন করা হয়।

জানা যায়, পাকিস্তানি পাক বাহিনী ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালো রাতের পর সারা দেশে আক্রমণ শুরু করলেও পঞ্চগড় ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত মুক্ত থাকে। কিন্তু ১৭ এপ্রিল সকাল সাড়ে দশটায় পাকবাহিনীরা সড়ক পথে এসে পঞ্চগড় দখল করে। জেলার দেবীগঞ্জ, বোদা, আটোয়ারী ও সদর উপজেলার দখল করে নিলেও সদর উপজেলার অমরখানা চাওয়ায় সেতুটি মুক্তিযোদ্ধারা ভেঙে দিলে পাক সেনারা তেঁতুলিয়া উপজেলায় প্রবেশ ও দখল করতে সক্ষম না হওয়ায় মুক্তিয্দ্ধু চলাকালীন তেঁতুলিয়া পুরোপুরি হানাদার মুক্ত ছিল। ফলে মুক্ত অঞ্চল হিসেবে তেঁতুলিয়ায় সকল কর্মকাণ্ডের তীর্থ ভূমিতে পরিণত হয়। তাছাড়া অস্থায়ী সরকারের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সভা তেঁতুলিয়ার ডাকবাংলোয় অনুষ্ঠিত হয় বলে জানা যায়। মুক্তিযোদ্ধারা ২০-২৮ নভেম্বর পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে গেরিলা হামলা চালায়। ২৮ নভেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা চার দিক পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে ঘিরে ধরে। মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ভয়ে এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয় এবং ২৯ নভেম্বর পঞ্চগড় জেলা হানাদার মুক্ত হয়।

এবিষয়ে জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল হোসেন জানান, আমরা ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করি। এবং যুদ্ধ করে ২৯ নভেম্বর পঞ্চগড়কে হানাদার বাহিনীর হাত থেকে মুক্ত করে তাদের বিতাড়িত করেছি।

একই কথা জানান পঞ্চগড় মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমরা যুদ্ধ করে পঞ্চগড়কে হানাদার মুক্ত করেছি। তবে বিভিন্ন এলাকায় অনেক গণকবর রয়েছে, স্থাপনা রয়েছে সেগুলো সংরক্ষণের জন্য দাবী জানাচ্ছি।

পঞ্চগড় জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও জেলা প্রশাসক ড. সাবিনা ইয়াসমিন জানান, পঞ্চগড় মুক্ত দিবস উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়