স্পোর্টস ডেস্ক : [২] ওয়েস্ট ইন্ডিজকে পেলেই যেন হেসে ওঠে গ্লেন ফিলিপ্সের ব্যাট। ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি হাফ সেঞ্চুরি পাওয়ার পর এবার তাদের বিপক্ষেই পেলেন প্রথম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি। মাঝে ২ বছর ১১ মাসে এই ব্যাটসম্যান খেলেছেন ৯টি ইনিংস, যেখেনে সর্বোচ্চ মাত্র ২৬। তার ৫১ বলে ১০৮ রানের ইনিংসেই নিউজিল্যান্ড পায় পাহাড় সমান সংগ্রহ।
[৩] দলীয় ৫৩ রানে দুই ওপেনারকে হারানো নিউজিল্যান্ডের ইনিংস শুধু ফিলিপ্স একাই টেনে নেননি। দক্ষিণ আফ্রিকা ছেড়ে নিউজিল্যান্ডের জার্সি গায়ে জড়ানো ডেভন কনওয়ে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচেই পেয়েছেন হাফ সেঞ্চুরি। ৩৭ বলে ৬৫ রানে অপরাজিত ছিলেন এই ব্যাটসম্যান।
[৪] মার্টিন গাপটিল ২৩ বলে ৩৪ এবং টিম সেইফার্ট ১৩ বলে ১৮ করে ফিরলেও ফিলিপ্স-কনওয়ে জুটি যোগ করে ১৮৪ রান। ৮ ছক্কা এবং ১০ চারের সাহায্যে ফিলিপ্স শেষ ওভারে ফেরেন ১০৮ রানে। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে নিউজিল্যান্ড পায় ৩ উইকেটে ২৩৮ রানের পুঁজি। যা টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে কিউইদের তৃতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ।
[৫] ২৩৯ রানের পাহাড় টপটাকে গিয়ে দ্বিতীয় ওভারেই বিপদে পরে সফরকারীরা। কাইল জেমিয়েসনের ওভারে প্রথম বলেই ফেরেন ব্রেন্ডন কিং। এরপর ফিলিপ্সের কাছে রান আউট হন আন্দ্রে ফ্লেচার। ১৪ বলে ২০ করেন এই ক্যারিবিয়ান। এরপর ৩২ রানের জুটি গড়েন শিমরন হেটমায়ার এবং কাইল মায়ের্স।
[৬] দলীয় ৬০ রানে মায়ের্স ফেরেন নিশামকে উইকেট দিয়ে। এরপর ৭২ রানে নিকোলাস পুরানকে ৭ রানে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান মিচেল স্যান্টনার। একে একে হেটমায়ার এবং অধিনায়ক পোলার্ড সাজঘরে ফিরলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পরাজয় হয়ে দাঁড়ায় মাত্র সময়ের ব্যাপার।
[৭] হেটমায়ার ২৫ এবং পোলার্ড করেন দলীয় সর্বোচ্চ ২৮। নিচের দিকের ব্যাটসম্যানরা শুধু পরাজয়ের ব্যবধানই কমিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে সফরকারীরা স্কোরবোর্ডে তোলে ১৬৬ রান। দুটি করে উইকেট নেন জেমিয়েসন এবং স্যান্টনার। এর আগে প্রথম ম্যাচেও জিতেছিল নিউজিল্যান্ড। ফলে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতল স্বাগতিকরা। সংক্ষিপ্ত স্কোর: নিউজিল্যান্ড- ২০ ওভারে ২৩৮/৩ (ফিলিপ্স ১০৮, কনওয়ে ৬৫) (পোলার্ড ১-৩৩)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ- ২০ ওভারে ১৬৬/৯ (পোলার্ড ২৮) (জেমিয়েসন ২-১৫) - ক্রিকফ্রেঞ্জি/ ক্রিকইনফো
আপনার মতামত লিখুন :