শিমুল মাহমুদ: [২] নদী কমিশনের চেয়ারম্যান মায়িশা গ্রুপের বিরুদ্ধে নদী দখল নিয়ে মনগড়া প্রতিবেদন দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সংসদ সদস্য ও মায়িশা গ্রুপের চেয়ারম্যান আসলামুল হক। শনিবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। নৌ মন্ত্রণালয়ের আয়ে নদী কমিশনের বেতন হয় বলে সংস্থাটি তাদের পক্ষে প্রতিবেদন দিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন আসলামুল হক।
[৩] তিনি বলেন, এটা জরিপ করা প্রয়োজন, আটমাস উনি ঘুমিয়ে ছিলেন, উনার এখানে শত শত আবেদন আছে, অন্য কোন আবেদনকে উনি তড়িঘড়ি করে আমলে নিলেন না, শুধু আমার এই বিষয়টি আমলে নিয়ে উনি তড়িঘড়ি করে একটি রিপোর্ট তৈরি করলেন। যে রিপোর্টটি আইন বিবর্জিত, পরস্পরবিরোধী।
[৪] জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, শুনানি, জরিপ এবং পরিদর্শনে সাংসদ, তাঁর আইনজীবী এবং অন্য প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। প্রতিটি ধাপে প্রতিটি পক্ষের উপস্থিতি নিশ্চিত করে প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। প্রতিবেদনের সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তাঁরা এখন সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিচ্ছেন।
[৫] কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাংসদ আসলাম আবেদনে দাবি করেছিলেন, তাঁর ওই স্থাপনা ৫১ একরের কিছু বেশি জায়গাজুড়ে রয়েছে। কিন্তু জরিপ চালিয়ে দেখা গেছে, জমির পরিমাণ ৫৪ একরের কিছু বেশি। এর মধ্যে বুড়িগঙ্গা ও তুরাগতীর এবং বন্দরের সীমার জমি প্রায় ৮ একর, নদীর জমি প্রায় ১৩ একর। বাকি জমি ড্যাপের আওতাভুক্ত।
আপনার মতামত লিখুন :