লাইজুল ইসলাম: [২] সরকারি-বেসরকারি সব হাসপাতালেই বেড়েছে রোগীর চাপ। আইসিইউসহ সাধারণ শয্যার তীব্র সংকট হওয়ায় ভোগান্তিতে রোগীরা। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার আশায় দীর্ঘদিন অপেক্ষায় থাকা রোগীরা হাসপাতালে আসায় হিমশিম অবস্থা। এতে সংক্রমণের ঝুঁকি কয়েকগুণ বাড়ার সঙ্গে ব্যাহত হচ্ছে সেবা।
[৩] হৃদরোগ হাসপাতালের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের শয্যাসংখ্যা ৭২। এর বিপরীতে রোগী ভর্তি হয়েছে ১৮৫ জন। মাঝে মাঝেই এই সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে যাচ্ছে। বাড়তি চাপে রোগীরা পাচ্ছেন না যথাযথ সেবা। সুস্থ হতে এসে উল্টো কোভিড সংক্রমণে পড়ার আশঙ্কায় রোগীরা।
[৪] স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) পরিচালক ডা. ফরিদ হোসেন মিয়া বলেন, ‘আমাদের কাছে এমন কোনো তথ্য নেই-যে সিট পাচ্ছি না, সিট বাড়াতে হবে। আগে যেরকম সিট খালি থাকতো এখন ওমন নেই। হয়তো আইসিইউ’র অভাব আছে এখনও।
[৫] তনি বলেন, একেকজন রোগীর সঙ্গে ৩ থেকে ৫ জন অ্যাটেনডেন্ট হাসপাতালে প্রবেশ করছেন। এতে সেবা চরমভাবে ব্যাহত হবার পাশাপাশি সংক্রমণ কোনোভাবেই এড়ানোর উপায় নেই বলে মনে করছেন তিনি।
[৬] ফরিদ হোসেন বলেন, আমাদের শুধু ঢাকাতে না ঢাকার বাইরেও সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। হাসপাতালের বেড, আইসোলেশন সেন্টার ও কোয়ারেন্টাইন সেন্টার বৃদ্ধি করা হয়েছে। আরো বৃদ্ধি করা হবে। শীত যেসব এলাকায় বেশি পরবে সেখানেই আমারা ব্যবস্থা বিনো।
[৭] তিনি বলেন, আমাদের দেশে মৃত্যু হার কম। সংক্রমনও কম। তাই সবাই যদি সচেতণ হই তাহলে করোনাকে দুরে রাখতে পারবো। আমরা সুস্থ্য থাকতে পারবো।
আপনার মতামত লিখুন :