এল আর বাদল: [২] কোভিড-১৯ এর কারণে আর্থিক সংকট এড়াতে বার্সেলোনা ক্লাব কর্তৃপক্ষ দ্বিতীয় দফা বেতন কমানোর ব্যাপারে যে প্রস্তাব রেখেছিলো, বিলম্বে হলেও তা মেনে নিয়েছে লিওনেলি মেসিরা। তবে শুরুতে তারা আপত্তি জানিয়েছিলো। প্রতিটি খেলোয়াড় ৩০ শতাংশ বেতন ছাড় দিবেন। ফলে প্রতি মাসে ১২২ মিলিয়ন অর্থাৎ ১২ কোটি ২০ লাখ ইউরো বেতন কম নিবেন খেলোয়াড়রা।
[৩] শুক্রবার বার্সেলোনার পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। তারা জানিয়েছে, ক্লাব ও খেলোয়াড়রা বেতন কমানোর বিষয়ে নীতিগতভাবে সমঝোতায় পৌঁছেছে। এখন কেবল আনুষ্ঠানিক অনুমোদন পাওয়ার অপেক্ষা। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই তা মিলবে বলেও আশা প্রকাশ করা হয়েছে।
[৪] মেসিদের বেতন এক দফাতেই এত পরিমাণ কমানো হচ্ছে না। আগামী তিন বছর ধরে ধাপে ধাপে বেতন কাঁটা হবে। তারপরও প্রতি মৌসুমে খেলোয়াড়দের বেতন বাবদ ৫০ মিলিয়ন (৫ কোটি) ইউরো খরচ করতে হবে বার্সেলোনার।
[৫] বেতনে ছাড় দেওয়ার বিষয়ে গত কিছুদিনে ফুটবলারদের সঙ্গে বেশ কয়েক দফা বৈঠক হয়েছে বার্সার অন্তর্র্ব্তীকালীন বোর্ডের কর্তাদের। সেসব আলোচনায় মেসি, আঁতোয়ান গ্রিজমান ও কোচ রোনাল্ড কোমানের ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। শেষ পর্যন্ত এসেছে শান্তিপূর্ণ সমাধান।
[৬] উল্লেখ্য, করোনার প্রাদুর্ভাবে আর্থিকভাবে ভীষণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বার্সেলোনা। ঘাটতি পোষাতে খেলোয়াড়দের বেতন ব্যাপক আকারে কমানো ছাড়া অন্য কোনো উপায় ছিল না তাদের হাতে। নইলে আগামী জানুয়ারিতে দেউলিয়াও হয়ে যেতে পারতো ক্লাবটি।
[৭] সবমিলিয়ে বিশাল অঙ্কের অর্থ বাঁচাতে হতো বার্সাকে। এই লক্ষ্য অর্জনে দলটির সব খেলোয়াড়কে বেতনের ন্যূনতম ৩০ শতাংশ ছাড় দিতে হতো। তারা তাতে সম্মত হওয়ায় কেটে গেছে দেউলিয়া হওয়ার শঙ্কার মেঘ।- মার্কা / ডেইলিস্টার
আপনার মতামত লিখুন :