সিরাজুল ইসলাম: [৩] রাজধানী তেহরানের কাছে দামাভান্দ কাউন্টির আবসার্দ শহরে শুক্রবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। তার নাম মোহসেন ফাখরিজাদেহ। তিনি দেশটির অন্যতম শীর্ষ পরমাণুবিজ্ঞানী। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। বিবিসি
[৪] মোহসেন ফাখরিজাদেহ ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের গবেষণা ও উদ্ভাবনবিষয়ক সংস্থার প্রধান ছিলেন। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বিবৃতিতে বলেছে, সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা তার গাড়ি লক্ষ্য করে হামলা চালায়। এ সময় তার দেহরক্ষী ও সন্ত্রাসীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে গুরুতর আহত হন ফাখরিজাদেহ। হাসপাতালে নেয়ার পর তিনি মারা যান।
[৫] পশ্চিমা বিশ্বের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তাকে ইরানের গোপন পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচির মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে বিবেচনা করে থাকে। এ ছাড়া কূটনীতিকেরা প্রায়ই তাকে ‘ইরানের বোমার জনক’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে থাকেন।
[৬] ২০১০ সাল থেকে ২০১২ সালের মধ্যে দেশটির চারজন বিজ্ঞানীকে হত্যা করা হয়েছে। এসব হত্যাকাণ্ডের জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করে থাকে ইরান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ টুইট বার্তায় লিখেছেন, এই হত্যাকাণ্ড কাপুরুষোচিত। এতে ইসরায়েলে যুক্ত থাকার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
[৭] প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে ইরানের আধা সরকারি বার্তা সংস্থা ফার্স নিউজ জানিয়েছে, সন্ত্রাসীরা প্রথমে একটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটায় এবং এরপর ঘটনাস্থল থেকে ব্রাশফায়ারের শব্দ শোনা যায়।
[৮] ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর প্রধান কমান্ডার মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি এই পদার্থবিজ্ঞানীর হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ নেয়ার হুমকি দিয়েছেন।