শিরোনাম
◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল ◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন ◈ আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন তারিখ ৮ মে ◈ সেনা গোয়েন্দাসংস্থার বিরুদ্ধে ৬ পাক বিচারপতির ভয় দেখানোর অভিযোগ ◈ নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিরা সাদা পতাকা উড়াচ্ছিল, তাদের বূলডোজার দিয়ে মাটি চাপা দিল ইসরায়েলী সেনারা ◈ যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত

প্রকাশিত : ২৮ নভেম্বর, ২০২০, ১২:৩১ দুপুর
আপডেট : ২৮ নভেম্বর, ২০২০, ১২:৩১ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] ‘নারীর মর্গে যেয়েও শান্তি নেই, সেখানেও ধর্ষণ’

শিমুল মাহমুদ: [২] ধর্ষণ ও নারী-শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে শুক্রবার রাজধানীর শাহবাগে সমাবেশ করে প্রগতিশীল নারী সংগঠনগুলো। সমাবেশে ১১ দফা দাবি উত্থাপনসহ এবং মাসব্যাপী জেলায় জেলায় বিক্ষোভ সমাবেশের কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়। বক্তারা বলেন, সরকারে কিন্তু কোনো পদক্ষেপই নির্যাতন-নিপীড়ন কমাতে পারছে না। নারী-শিশু ধর্ষণ-নির্যাতনের ১০০টি মামলার মধ্যে ৯৭টির কোনো বিচার হয় না। আদালত ধর্ষককে শাস্তি না দিয়ে ধর্ষিতার সাথে বিয়ের রায় দিচ্ছেন। বিচারহীনতার রেওয়াজে ক্ষমতা ও অর্থের দাপটে অপরাধীরা পার পেয়ে যায়।

[৩] সভাপতির বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা লক্ষ্মী চক্রবর্তী বলেন, কেউ ধর্ষক হয়ে জন্ম নেয় না। এই সমাজ ধর্ষক সৃষ্টি করে। বিচারহীনতার সংস্কৃতি ও সমাজের পৃষ্টপোষকতার কারণে ধর্ষকরা উৎসাহিত হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত দেশের এই অরাজক অবস্থা কারো কাঙ্খিত নয়। এই অবস্থার পরিবর্তনের জন্য আন্দোলনের বিকল্প নেই।

[৪] সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, নারীর মরেও শান্তি নেই। হাসপাতালের মর্গে গিয়েও শান্তি নেই। সেখানেও ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। সমাজ যে কতোটা বর্বর ও অমানবিক হয়ে উঠেছে, এটা তারই বহিঃপ্রকাশ।

[৫] সমাবেশকে কেন্দ্র করে শুক্রবার দুপুরের পর থেকে নেতা-কর্মীরা শাহবাগ মোড়ে জড়ো হতে থাকেন। বেলা ৩টা থেকে সমাবেশস্থলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর পৌনে ৪টায় শাহবাগ থেকে মিছিলটি বাটা সিগনাল মোড়, কাঁটাবন হয়ে শাহবাগে এসে সমাবেশে মিলিত হয়।

[৬] দাবিগুলো হলো: সারাদেশে অব্যাহতভাবে ধর্ষণ, নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতার সঙ্গে যুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা, আদিবাসী নারীদের ওপর যৌন ও সামাজিক নিপীড়ন বন্ধ করা, হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সরকারি,বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানে নারী নির্যাতনবিরোধী সেল কার্যকর করা, সম্পত্তির উত্তরাধিকারে নারী-পুরুষের সমান অধিকার নিশ্চিত, ইউনিফর্ম সিভিল কোড চালু, ধর্ষণ মামলার ক্ষেত্রে সাক্ষ্য আইন ১৮৭২-১৫৫ (৪) ধারাকে বিলোপ করা এবং মামলার ডিএনএ আইনকে সাক্ষ্য-প্রমাণের ক্ষেত্রে কার্যকর করা, অপরাধ বিজ্ঞান ও জেন্ডার বিশেষজ্ঞদের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের অন্তর্ভুক্ত করা, ট্রাইব্যুনালের সংখ্যা বাড়িয়ে অসম্পূর্ণ সব মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি, তদন্তকালীন ভিকটিমের মানসিক নিপীড়ন বন্ধ করা, ভিকটিমের আইনগত ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত, সব ধরনের সভা-সমাবেশে নারীবিদ্বেষী সংবিধানবিরোধী বক্তব্য শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করা, সাহিত্য, নাটক, সিনেমায় নারীকে পণ্য হিসেবে উপস্থাপন করা বন্ধ, পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণে বিটিসিএলের কার্যকর ভূমিকা পালন করা, সুস্থ ধারার সংস্কৃতির চর্চায় সরকারিভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করা, সারাদেশে মাদক বন্ধে সরকারিভাবে কার্যকর ভূমিকা গ্রহণ, পাঠ্যপুস্তকে বিদ্যমান নারীর প্রতি অবমাননা ও বৈষম্যমূলক যে কোনো প্রবন্ধ, নিবন্ধ, পরিচ্ছদ, ছবি, নির্দেশনা ও শব্দচয়ন পরিহার, গ্রামীণ সালিশের মাধ্যমে ধর্ষণের অভিযোগ ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করা।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়