আমান উল্লাহ: [২] শীত বাড়ার সাথে সাথে সৈকতের শহর কক্সবাজারে বাড়ছে পর্যটকের চাপ। বিশাল সাগরের অপরূপ দৃশ্য দেখতে পরিবার পরিজন নিয়ে কক্সবাজার ছুটছেন অনেকেই। করোনা দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতে আগত পর্যটকদের মাস্ক ব্যবহারে সচেতন করতে সৈকতে মাইকিং করছে জেলা প্রশাসন। সৈকতে প্রবেশ করছে দেশের দূর-দূরান্ত থেকে আসা পর্যটকরা। প্রবেশমুখেই পর্যটকদের মাস্ক ব্যবহারে মাইকিং করছে প্রশাসনের কর্মীরা। এতে কিছুটা হলেও বেড়েছে মাস্কের ব্যবহার।
[৩] পরিবার পরিজন নিয়ে সমুদ্রস্নানে আনন্দে মেতেছেন ভ্রমণপিপাসুরা। করোনার মাঝেও শীত মৌসুমে বিশাল সাগরের অপরূপ দৃশ্য উপভোগ করতেই ছুটে আসা বলে জানান পর্যটকরা।
[৪] পর্যটকরা বলেন, 'প্রতিটা বছরই আমরা এখানে আসি। অনেকসময় বাচ্চাদের সাথে ঘরে বসে থেকে বাইরে কিছু সময় কাটানোর জন্য আসা। লকডাউনে ঘরে বন্দি ছিলাম তাই আমরা কক্সবাজারে এসেছি।'
[৫] সাপ্তাহিক ছুটিতে সৈকতে লাখো পর্যটকের আগমন হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি মানছে কিনা তা তদারকির পাশাপাশি নিরাপত্তায় বেগ পেতে হচ্ছে বলে জানান লাইফ গার্ড কর্মীরা।
[৬] কক্সবাজার সী-সেইভ লাইফ গার্ডের ইনচার্জ মোহাম্মদ সিরু বলেন, 'কয়েকজন লাইফগার্ড আছে এদের সৈকতে যে পর্যটক আসছে তাদের সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে।'
[৭] অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জানালেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতে আগত পর্যটকদের মাস্ক ব্যবহারে সচেতন করা হচ্ছে। কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আল আমিন পারভেজ বলেন, 'করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসছে সেটা মোকাবিলা করার জন্য যারা সৈকতে আসছে তারা যেন সব সময় মাস্ক পরিধান সেটি নিশ্চিত করা।'
[৮] কক্সবাজারে গড়ে উঠেছে সাড়ে চার শতাধিক হোটেল-মোটেল ও রিসোর্ট। যেখানে প্রতিদিন রাতযাপন করতে পারেন দেড় লক্ষাধিক মানুষ। সম্পাদনা: সাদেক আীল
আপনার মতামত লিখুন :