শরীফ শাওন: [২] মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ গোলাম ফারুক বলেন, গুটিকয়েক প্রতিষ্ঠান প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করে। বাকিরা ভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চলে যাওয়ায় প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে শিক্ষার্থী ও শিক্ষায় অসাম্য তৈরি হয়। যা দেশের গুণগত শিক্ষা অর্জনে বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
[৩] গোলাম ফরুক বলেন, শিক্ষার্থীরা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে খেলাধুলা, সাংস্কৃতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে মেধাবী হতে পারে। লটারি পদ্ধতিতে ভর্তির মাধ্যমে সকল বিষয়ে মেধাবীদের একটা সংমিশ্রণ ঘটবে। এতে শিক্ষাব্যবস্থা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষার্থীদের মাঝে সাম্যতা তৈরি হবে এমনটাই মনে করেন শিক্ষাবিদরা। এখন ভালো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রকৃত ভূমিকা সম্পর্কেও স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে।
[৪] রাজধানীর ভিকারুননিসা স্কুল অ্যান্ড কলেজের অভিভাবক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ সুজন বলেন, প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তির সিদ্ধান্ত সময়োপযোগি। করোনার সময় এর বিকল্প নেই। লটারি পদ্ধতি সঠিক মনিটরিং করা গেলেই রাজধানীর নামি দামি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভর্তি বাণিজ্য বন্ধ করা সম্ভব হবে।
[৫] মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় এবং কলেজ অধ্যক্ষ ফরহাদ হোসেইন বলেন, শিক্ষার্থীরা মেধার ভিত্তিতে নয় বরং ভালো প্রতিষ্ঠানে সুযোগ পাবে ভাগ্যের উপর নির্ভর করে। এতে মেধার অবমূল্যায়ন হবে, কাঙ্খিত প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ হারাবে।
আপনার মতামত লিখুন :