লিহান লিমা: [২] গত ২৩ নভেম্বর অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকা জানিয়েছিলো, ব্রাজিল ও যুক্তরাজ্যে চালানো তাদের টিকার প্রাথমিক পরীক্ষায় ৭০.৪ শতাংশ কার্যকারীতা প্রমাণিত হয়েছে। ফিনেন্সিয়াল টাইমস
[৩]যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছিলো, এক মাসের ব্যবধানে একদলকে দুই ভিন্ন ভিন্ন সম্পূর্ণ টিকার ডোজ দেয়া হয় এবং অন্য দলকে একটি হাফ-ডোজ ও পরে ফুল ডোজ দেয়া হয়। প্রথম দলের রোগীদের মধ্যে ৬২ শতাংশ ও পরে দলের মধ্যে ৯০ শতাংশ কার্যকারীতা দেখা যায়।
[৪]মঙ্গলবার মার্কিন সরকারের টিকা তহবিল প্রকল্ড ‘অপারেশন র্যাপ স্পিড’ এর প্রধান মনকেফ স্লাওনি বলেন, দ্বিতীয় দলের টিকার প্রয়োগ ৫৫ বা তার চেয়ে কম বয়সীদের ক্ষেত্রে কার্যকারী অর্থাৎ এটি বয়সজনিত কারণে করোনায় কম ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। তবে সোমবার টিকার ফলাফল প্রকাশের সময় অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রাজেনেকা এই বয়সসীমার তথ্য প্রকাশ করে নি। তাছাড়া টিকার ডোজের পূর্ণ ও অর্ধেক ব্যবহার নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন গবেষকরা।
[৫] অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা বুধবার এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘উৎপাদন এবং পরিমাপের ভিন্নতার কারণে পূর্ণ ডোজের কারণে অর্ধেক ডোজ দেয়া হয়েছিলো। বিষয়টি নিয়ে নীতি-নির্ধারকদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। চূড়ান্ত পর্যায়ে আমরা সব টিকার ডোজই সমান করার বিষয়টি নিশ্চিত করবো।’
[৬]এদিকে স্লাওনির বিবৃতির পর লন্ডনে অ্যাস্ট্রাজেনেকার শেয়ার পূর্বের দিনের চেয়ে ৬ শতাংশ কমে যায়।
[৭] মার্কিন বিশ্লেষক জিওফ্লে পোর্গেস বলেন, ‘ফলাফল রাখঢাকের পর অ্যাস্ট্রাজেনেকার যুক্তরাষ্ট্রে অনুমোদন পাওয়ার বিষয়টি অসম্ভব।’ ফাইজারের সাবেক প্রেসিডেন্ট জন লাম মার্টিনা বলেন, ‘এটি অবিশ্বাস্য যে মার্কিন নীতি-নির্ধারকরা মাত্র ২ হাজার ৩০০জন সীমিত ব্যক্তিকে দিয়ে পরীক্ষা চালানো একটি টিকার জরুরী অনুমোদন দেবেন।’
আপনার মতামত লিখুন :