আনিস তপন : [২] বৃহস্পতিবার সচিবালেয় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এসব বিষয়ে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি এস্ট্রাপ পিটারসেন।
[৩] বৈঠকে পানি শোধন, বর্জ্য ও বিষাক্ত পানি ব্যবস্থাপনা, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও সৌর শক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি, গ্রিনহাউজ গ্যাস নি:সরণ কমানোসহ জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত বিভিন্ন ক্ষেত্রে একযোগে কাজ করার বিষয়ে একমত হয় বাংলাদেশ ও ডেনমার্ক।
[৪] আলাচনাকালে চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে গ্রিন পোর্টে পরিণত করার বিষয়ে সহায়তা করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত।
[৫] তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাসমূহ অর্জন, প্রতিবেশ রক্ষা, প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে ডেনমার্ক।
[৬] এছাড়াও জ্বালানি দক্ষতা অর্জন, কৃষি সহ অন্যান্য সকল ক্ষেত্রে পরিবেশ বান্ধব কার্যক্রম বাস্তাবায়নে বাংলাদেশকে সহযোগিতার প্রস্তাব করেন।
[৭] এসময় জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলা এবং পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে। জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে বাংলাদেশ নেতৃত্ব দিচ্ছে উল্লেখ করে বনমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমানে ‘ক্লাইমেট ভালনারেবলিটি ফোরাম’-এর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
[৮] তাছাড়া 'গ্লোবাল সেন্টার অব অ্যাডাপটেশন'-এর আঞ্চলিক অফিস ঢাকায় স্থাপনের ফলে বাংলাদেশ জলবায়ু ইস্যুতে আরো জোরালো ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হবে।
[৯] সভায় দুই দেশের সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করে ভবিষ্যতে একসঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :