লিহান লিমা: [২] দ্য নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিনে মঙ্গলবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে আর্জেন্টিনার গবেষকরা বলেছেন, কনভøাসেন্ট প্লাজমা থেরাপি রোগীর জন্য প্লাসিবো থেরাপি (মানসিক চিকিৎসা পদ্ধতি) ব্যতীত আর কিছুই নয়। হাসপাতালে ভর্তি যে সব রোগী কনভøাসেন্ট প্লাজমা থেরাপি নিয়েছেন তাদের কোনো উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখা যায় নি। রয়টার্স
[৩]গবেষকরা কোভিড-১৯ জটিলতা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে প্লাজমা বা প্লাসিবো থেরাপি নেয়া ৩৩৩ জন রোগীর ওপর পর্যবেক্ষণ চালান। ৩০ দিন পর তারা দেখেন এটি ওই রোগীদের স্বাস্থ্যের কোনো উন্নতি হচ্ছে না। মৃত্যুহারও অন্য রোগীদের মতোই। প্লাজমা নেয়া রোগীদের মৃত্যুহার ১১ শতাংশ ও প্লাসিবো নেয়া রোগীদের মৃত্যুহার ১১.৪ শতাংশ।
[৪]ইতালিয়ানো দি ব্রুনোস এরস হাসপাতালের ডাক্তার ভেনচুরা সাইমনভিচ ও গবেষণার প্রধান লেখক বলেন, ‘করোনায় আক্রান্ত হওয়ার প্রাথমিক পর্যায়ে বা কম অসুস্থ রোগীদের ক্ষেত্রে প্লাজমা থেরাপি কিছুটা প্রভাব ফেলে।’
[৫]এদিকে আর্জেন্টিনার আরেকটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, করোনা রোগের লক্ষণ দেয়া দেয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে যে সব বয়স্ক রোগীরা প্লেসবোর পরিবর্তে কনভøাসেন্ট প্লাজমা থেরাপি নিয়েছেন তারা অন্যদের চেয়ে কম অসুস্থ হয়েছেন।
[৬]গত এক শতাবব্দীরও বেশি সময় ধরে বিভিন্ন রোগে কনভøাসেন্ট প্লাজমা থেরাপি ব্যবহার হয়ে আসছে। এই পদ্ধতিতে দাতার প্লাজমা রক্তকণিকা থেকে আলাদা করে তা অসুস্থ রোগীর শরীরে দেয়া হয়, যা সংক্রমণ থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য রোগীর শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে।
[৭]এ বছরের আগস্টে মার্কিন খাদ্য ও ঔষধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (এফডিএ) করোনার চিকিৎসায় প্লাজমা থেরাপি ব্যবহারের অনুমোদন দেয়।
আপনার মতামত লিখুন :