শিরোনাম
◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা শুরু, মানতে হবে কিছু নির্দেশনা ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ বিশ্ববাজারে সোনার সর্বোচ্চ দামের নতুন রেকর্ড ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ চেক প্রতারণার মামলায় ইভ্যালির রাসেল-শামিমার বিচার শুরু ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ প্রফেসর ইউনূসকে প্রদত্ত "ট্রি অব পিস" প্রধানমন্ত্রীকে প্রদত্ত একই ভাস্করের একই ভাস্কর্য: ইউনূস সেন্টার ◈ নির্বাচনী বন্ড কেবল ভারত নয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি: অর্থমন্ত্রীর স্বামী ◈ কুড়িগ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান পরিদর্শন করে দেশে ফিরলেন ভুটানের রাজা

প্রকাশিত : ২৬ নভেম্বর, ২০২০, ০৯:৩৭ সকাল
আপডেট : ২৬ নভেম্বর, ২০২০, ০৯:৩৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সুলতান মির্জা: প্রসঙ্গ সিঙ্গাপুর থেকে ১৫ মৌলবাদী ফেরত পাঠানো এবং বাংলাদেশ সরকারের করণীয়

সুলতান মির্জা : ইট ওয়াজ নট এলার্মিং, প্রবাস থেকে কতো টাকা রেমিটেন্স এলো না এলো এটাও আপাতত কোনো ফ্যাক্ট নয়। ফ্যাক্ট হলো বাংলাদেশ রাষ্ট্রের ইমেজ সংকটের, ফ্যাক্ট হলো বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অনিয়ন্ত্রিত জঙ্গিবাদ মৌলবাদের প্রশ্নের। ঘুরিয়ে পেচিয়ে যেভাবেই বলা হোক, কলঙ্কিত হবে বাংলাদেশ রাষ্ট্র, সরকার হবে সেই কলঙ্কের অংশীদার। বাংলাদেশ থেকে শ্রমশক্তি রপ্তানি বিষয়টা গত কয়েক বছরের গল্পের কোনো উত্থান নয়, ১৯৭২ সালের ২০ জানুয়ারি যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করার লক্ষ্যে শ্রম ও জনশক্তি মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করা হয় এবং কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও কর্মী প্রেরণ বিষয়ে মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশসমূহের সাথে সমঝোতা সৃষ্টি হয়।

তারই ধারাবাহিকতায় সত্তর দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশসমূহে বাংলাদেশি কর্মী গমন শুরু হয়। অর্থাৎ বাংলাদেশ জন্ম সময় থেকেই শ্রমশক্তি রপ্তানির বিষয়টা বাংলাদেশের সাথে জড়িত। উক্ত এই লম্বা সময়ে বহিঃবিশ্বে বাংলাদেশি শ্রমিকেরা বেশ সুনাম অর্জন করেছে, তাদের মেধা, শ্রম, সততা, দায়বদ্ধতা দিয়েই ভিনদেশে কাজ করেছে। এসব শ্রমিকেরা বহিঃবিশ্বে বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করেছে, অনেকেই সাধারণ শ্রমিক হিসেবে প্রবাসে গমন করে সেখানে নিজেরাই কোম্পানির মালিক হয়েছে, নিজেরা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক হয়েছে, কেউ কেউ ওইসব দেশে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে। সোজা কথায় কোনো লস নেই, লস করেনি তারা।

কিন্তু বিবর্তনের শুরুটা ২০০১-২০০৬ সময়ের পরে, খালেদা নিজামীর ক্ষমতার সময়ে বাংলাদেশে খুন, ধর্ষণ জমি দখল চুরি চামারি করে একদল বিএনপি জামাতি কর্মীরা সরকার বদলের পরে বাংলাদেশে অবস্থান নিজের অনিশ্চিত ভবিষ্যতের আশঙ্কায় দেশ ছেড়ে তাদের শ্রমিক বললে অন্যায় হবে, তারা কামলা, যখন বাংলাদেশের বড় শ্রমি বাজারের দেশ গুলোতে গমন করলো তখন থেকেই বিপত্তির শুরু, ভালো করে বললে দেশের এসব দাগী সন্ত্রাসী, চোর, ছেচ্ছর, ছিনতাইকারীরা ছিলো বাংলাদেশের দুধের মতো পরিষ্কার শ্রমবাজারের একেক ফোটা গরুর চোনা।

সেই গরুন চোনা গুলোই কিন্তু এখন প্রবাসে বেশ বড় সংখ্যক হয়ে গেছে, তারা প্রবাসে গিয়েও ক্ষান্ত হয়নি, যা খুশি তা করছে, ওইসব দেশে কামলাগিরি করছে, ওইখানে ছোটখাট নানান ধরনের ক্রাইম করছে, সরকারি আইন অমান্য করছে এবং ফাঁকে বাংলাদেশে নানান ইস্যু উস্কে দিচ্ছে, জঙ্গিবাদ মৌলবাদের পিছনে অর্থ বিনিয়োগ করছে, নিজেরাও জঙ্গিবাদ মৌলবাদ ধারণ করছে। সোজা কথা এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় আশঙ্কার বিষয় হচ্ছে আগামী কয়েক বছর পরে প্রবাসে বাংলাদেশের পুরাতন বৃহৎ শ্রম বাজার গুলোতে শ্রমশক্তি রপ্তানির সুযোগ থাকবে কিনা সেটাও প্রশ্নবোধক জায়গায় নিয়ে গেছে...।

ফ্রান্সের বিরুদ্ধে আন্দোলনের বেসামরিক বড় একটা ইফেক্ট হবে যে সেটা আমরা শুরুতেই বুঝতে পেরেছিলাম, বিশেষ করে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের দেশ গুলোতে বাংলাদেশে রপ্তানি বাণিজ্য এবং নন মুসলিম দেশে বসবাসরত বাংলাদেশি মুসলিম যারা ফ্রান্সের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে আন্দোলন করেছে, নানান অ্যাক্টিভিজম চালিয়েছে, অর্থাৎ এই দুই শ্রেণিকে চরম মাশুল দিতে হতে পারে, যার প্রাথমিক একটা নমুনা বুঝে নেওয়া যেতে পারে সিঙ্গাপুর থেকে ১৫ বাংলাদেশি শ্রমিককে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো এবং তদন্ত চলমান রয়েছে সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এমন অবস্থায় তারা দেশে ফিরে কি করবে না করবে সেটা নিয়ে আমার আপনার বা রাষ্টের চিন্তার কিছু নেই, আবার চিন্তা না করেও উপায় নেই। কারণ তারা দেশে ফিরেই আবারো সেই পুরাতন চুরি চামারির পেশায় ফিরে যেতে পারে, সমাজ দেশ পরিবেশ ভয়ংকর করে তুলতে পারে। পাশাপাশি আগামী দিনে যেসব দেশ থেকে তারা ফিরছে সেসব দেশে বাংলাদেশি নতুন শ্রমিক যেতে পারবে কিনা সেটা নিয়েও অনিশ্চয়তা তৈরি করে এসেছে...।

অর্থাৎ সংকট শুধু দেশে ফেরা নয়, বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের বালাৎকার করে একদল কামলা পরিচয়ের উগ্র জঙ্গি মৌলবাদীর দেশে ফেরা। প্রশ্ন হচ্ছে সরকারের করনীয় কী? এক কথায় কিছু নেই, আরেকটু ভেবে বললে যার যার পাপের প্রায়শ্চিত্ত নিশ্চিত করা, অর্থাৎ যেসব দেশ থেকে অপরাধী হিসেবে অভিযুক্ত হয়ে ফিরবে, তাদের গ্রেপ্তার করে বড় বড় করে প্রচার করলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। বিষয়টা দাঁড়ায়, ভিনদেশে ভালো করে থাকলে সুখ, অপরাধ করে ফিরলে মৃত্যু। ব্যস...।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়