শওগাত আলী সাগর : সরকারি কর্মকর্তাদের আয়-ব্যয়ের হিসাব দেওয়ার একটা আইন যে বাংলাদেশে আছে এই তথ্যটা জানা ছিলো না। দেশ টিভির টকশোতে সাবেক সচিব আবদুল লতিফ মন্ডল এই তথ্যটা জানালেন। এই নিয়মটা থেকে থাকলে সেটি কি কখনোই পালিত হয়েছে? জনপ্রতিনিধিদের বিশেষ করে মন্ত্রী-এমপিদের আয়-ব্যয়ের হিসাব দেয়ার নিয়ম আছে সেটা জানি। কিন্তু সেটা পালিত হয় না।
মন্ত্রী-এমপিরা হচ্ছেন রাজনীতিক, দেশ চালান রাজনীতিকরা। যারা দেশ চালান তারা নিজেরাই নিজেদের দেশের এই আইন পালন থেকে অব্যহতি দিয়েছেন। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এই ইনডেমনিটি কারা দিয়েছেন? দুর্নীতির আলোচনায় রাজনীতিক, সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী আর ব্যবসায়ীদের একটি নেক্সাসের কথা প্রায়ই বলা হয়। দুর্নীতি বিস্তারের জন্য যে তিনটি শক্তির কথা বলা হয় তার মধ্যে রাজনীতিক এবং সরকারি কর্মকর্তা হচ্ছেন- সরকারের অংশ।
এই দুয়ের সহযোগিতা পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া তৃতীয় গ্রুপ ব্যবসায়ীদের দুর্নীতি করা কঠিন। আমার মাঝে মাঝে মনে হয়, দেশের দুর্নীতি দমন কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আর অডিটর জেনারেলের অফিস স্বাধীনভাবে কাজ করলে, নিয়মিত কাজ করলে বা করতে পারলে দুর্নীতি এমনিতেই কমে যাওয়ার কথা।
আপনার মতামত লিখুন :