আসিফুজ্জামান পৃথিল: [২] খুলনা জেলার উপকূলবর্তী গ্রামটি শিবসা নদীর তীরে। বাসিন্দাদের জীবন চলে এই নদী আর সুন্দরবনের উপর নির্ভর করে। একসময় কালাবাগির বাড়িগুলো ছিলো মাটিতে। বাড়ির চারদিকে ছিলো সবজির বাগান। এখন পরিস্থিতি বদলে গেছে। দ্য হিন্দু
[৩] ২০০৯ সালে বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় আইলা। এই ঘূর্ণিঝড়ে কালাবাগির মানুষ নিজেদের বাড়ি আর ফসলি ভূমি হারান চিরতরে। এরপর থেকে বড় ধরনের সমস্যায় আছেন তারা। তবে তারা চূড়ান্ত খারাপ পরিস্থিতিতেও বসবাস করতে শিখে গেছেন। ঘরবাড়ি এখন সরাসরি মাটির ওপর বানান না। নিচে সারি সারি বাঁশের খুঁটি, ওপর বসানো হয় ঘর। ওই এলাকার ঘরবাড়িতে এখন জোয়ারের পানি ঢোকে না, পানি চলে যায় ঘরের নিচ দিয়ে।
[৪] কালাবাগির বাসিন্দারা বলছেন, নিয়মিতই নোনাবান, অতিরিক্ত জোয়ার আর ঘূর্নিঝড় মোকাবেলা করতে হচ্ছে। অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে শিবসা নদীর লবনাক্ততা। ফলে পানীয় জলের সঙ্কটও খুব তীব্র। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, যেসব রাজনীবিদ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবকে মিথ্যা বলে মনে করেন, কালাবাগি হতে পারে তাদের জন্য পোস্টার। কালাবাগির মানুষ বেঁচে আছেন প্রকৃতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে। কিন্তু এটি কোনও সাধারণ ও স্বাভাবিক জীবন নয়।
[৫] বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বহু মানুষ ভিটেমাটি হারিয়েছেন। গ্লোবাল ক্লাইমেট রিস্কের ২০২০ সালের গবেষণা বলছে, ১৯৯৯ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত জলবায়ু পরিবর্তনে সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় ৭ নম্বরে আছে বাংলাদেশ। কালাবাগি দাঁড়িয়ে আছে এই ঘটনার সাক্ষী হিসেবে। আন্তর্জাতিক জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পৃথিবীর সময় ফুরিয়ে আসছে। এখনই প্যারিস জলবায়ু চুক্তি বাস্তবায়ন করতেই হবে। সম্পাদনা : রাশিদ রিয়াজ, সালেহ্ বিপ্লব
আপনার মতামত লিখুন :