তরিকুল ইসলাম: [২] কোভিড প্রভাবে বন্ধ রয়েছে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। পাঠ্য বই থেকে শুরু করে শিল্প-সাহিত্য ও ধর্মীয় বই বিক্রি নেই বললেই চলে। বিক্রেতারা বলছেন, করোনার আগে দিনে যে পরিমাণ বিক্রি হতো সেটি এখন ১০ শতাংশের নিচে।
[৩] গেলো দু’দিন নীলক্ষেত বই মার্কেট ঘুরে ক্রেতাদের খুব একটা দেখা মেলেনি। ফরিদগঞ্জ লাইব্রেরীর সামনে ছোটখাটো জটলা। পরে দেখা গেলো সেখানে বই কিনতে নয়, তারা এসেছেন উচ্চ মাধ্যমিকের বিজ্ঞান বিভাগের ফ্রেশ এক সেট বই বিক্রি করতে।
[৪] বেশকিছু বন্ধ দোকানে মোবাইল নম্বরসহ ঝুলছে ভাড়ার বিজ্ঞাপন। করোনায় লোকসান কুলিয়ে উঠতে না পারায় দোকানগুলো ছেড়ে দিয়েছেন বিক্রেতারা। এর মধ্যে এনএন বুক কর্ণার ৭মাস, ফেয়ার বুক ডিল ৬মাস, ছাত্র-বন্ধু ৩ মাস ও ইত্যাদি লাইব্রেরী ১মাস হলো বই ব্যবসা ছেড়ে দিয়েছে।
[৫] মানিক লাইব্রেরীর মালিক জাহাঙ্গীর বলছেন, মালিক পক্ষ জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩০শতাংশ ভাড়া কমালেও এখন আর কম নিচ্ছে না। যারা দোকান ছেড়ে দিয়েছে তারাই বেঁচে গেছে। এভাবে চলতে থাকলে এখন যারা আছি তাদেরও ছেড়ে দিতে হবে।
[৬] বাকুশা মার্কেটেও দেখা গেলো একই চিত্র। মেসার্স রহমান পেপার এন্ড ষ্টেশনারীর মালিক মহসিন রহমান বলেন, খুবই মন্দ সময় যাচ্ছে। এ জন্য আরও কিছু বিকল্প মালামাল তুলেছি। অনেকেই পরিবার গ্রামে পাঠিয়ে দিয়ে কম ভাড়ার বাসায় উঠতে বাধ্য হয়েছে।
[৭] বাকুশা দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আলী আক্কাস বলেছেন, লকডাউনের সময় দুই মাসের দোকান ভাড়া মওকুফ করা হয়েছিলো। করোনায় আমরা উভয় পক্ষ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি। পরবর্তীতে দোকানিরা ভাড়া কমানোর বিষয়ে জানিয়েছিল। এ নিয়ে কেনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সম্পাদনা: রায়হান রাজীব
আপনার মতামত লিখুন :