সুজন কৈরী: পুলিশ পরিচালিত জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ এ এক যাত্রীর ফোনে মেঘনা নদীর শাখা তেতুলিয়ায় বিকল হয়ে আটকে পড়া লঞ্চের তিন শতাধিক যাত্রীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
৯৯৯ পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার বলেন, বুধবার সকাল পৌণে ৯টায় লিমা নামের একজন নারী ফোন করে জানান, তিনি পারাবত ১২ নামক লঞ্চের যাত্রী। লঞ্চে করে ঢাকা থেকে বরিশাল যাচ্ছিলেন। মধ্যরাতের পর লঞ্চটি বিকল হয়ে যায়। রাত দুইটার দিকে লঞ্চের সব যাত্রীদের একটি চরে নামিয়ে দেয়া হয়। সেই থেকে তারা চরে অবস্থান করছেন। এখন পর্যন্ত লঞ্চটি ঠিক হয়নি বা তাদের নেয়ার জন্য কোনো লঞ্চের ব্যবস্থা করেনি লঞ্চ কর্তৃপক্ষ।
কলার লিমা আরও জানান, তার আট মাস বয়সী শিশু সন্তান নিয়ে ঠান্ডা আবহাওয়ায় রাত দুইটা থেকে থেকে নির্ঘুম চরে অবস্থান করায় তিনিসহ বেশ কিছু যাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। লঞ্চে অনেক মহিলা ও শিশু যাত্রীও রয়েছেন। ঠান্ডা আবহাওয়ায় চরে আটকে পড়া যাত্রীদের মধ্যে ভীতি ও আশংকার সৃষ্টি হয়। কোন উপায় না দেখে তিনি ৯৯৯ এ ফোন করেন এবং তাদের উদ্ধারের ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অনুরোধ জানান।
৯৯৯ তাৎক্ষনিক কলারের সঙ্গে প্রথমে নৌ পুলিশের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সাথে কথা বলিয়ে দেয়। কলারের বর্ণনা অনুযায়ী তাদের অবস্থান চিহ্নিত করা হয় মেঘনা নদীর শাখা তেকুলিয়ার বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জেও আলিগঞ্জ এলাকায়। ৯৯৯ তাৎক্ষণিক মেহেন্দীগঞ্জ থানা ও কালিগঞ্জ নৌ পুলিশ ফাঁড়িকে সংবাদটি জানিয়ে লঞ্চটি দ্রুত উদ্ধারের ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানায়। খবর পেয়ে মেহেন্দীগঞ্জ থানা ও কালিগঞ্জ নৌ পুলিশ ফাঁড়ি ঘটনাস্থলে রওনা দেয়।
এরপর সকাল সাড়ে ১০টায় মেহেন্দীগঞ্জ থানার এসআই শাহজালাল এবং কালিগঞ্জ নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই শাখাওয়াত ৯৯৯ কে জানান, তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে লঞ্চ কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে একটি লঞ্চ আনার ব্যব্স্থা করেন। পরে বরিশাল থেকে আসা উদ্ধারকারী সুন্দরবন ১১ লঞ্চে আটকে পড়া সব যাত্রীদের তুলে দেয়া হয়।
আনোয়ার সাত্তার জানান, ৯৯৯ থেকে কলারকে ফোন করা হলে তিনি উদ্ধার পাওয়ার আনন্দে ৯৯৯ এর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।