সোহেল রানা : [২] বৃহত্তর সিলেটের শীতল পাটি,কুটির শিল্পের গণ্ডি পেরিয়ে হয়েছে জাতিসংঘের স্বীকৃৃতিপ্রাপ্ত পণ্য।দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তকমা পাওয়া এ উপকরণটি কালের পরিবর্তনে ক্রমশই হারিয়ে যেতে বসেছে। দীর্ঘদিন ধরে কাঁচামাল ও পুঁজি সংকটে এতোদিন কোনোমতে চললেও করোনার ছোবলে পড়েছে অস্তিত্ব সংকটে।
[৩] স্থানীয় প্রশাসন বলছে,শিল্পটিকে বাঁচাতে চেষ্টা চলছে। শীতল পাটির রাজ্য মৌলভীবাজারের সদর, রাজনগর,জুড়ি ও বড়লেখা উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রাম। এক হাজারের বেশি পরিবার যুক্ত এ শিল্পের সঙ্গে।
[৪] কারিগররা জানান,কাঁচামাল সংকট ও মূলধনের অভাব রয়েছে। পাশাপাশি কাঙ্খিত দাম না পাওয়া ও প্লাস্টিক পণ্যের সঙ্গে পেরে না ওঠায় অনেকেই এ পেশা ছেড়েছেন। করোনাকালে উৎপাদিত পণ্য অবিক্রিত থাকায় দেখা দিয়েছে অর্থনৈতিক সংকটও জানান তারা। এ শিল্পকে এগিয়ে নিতে ব্যাপক কার্যক্রম হাতে নেয়ার কথা জানান জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান।
[৫] ইউনেস্কার বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় জায়গা পেয়েছে এখানকার শীতল পাটি। ২০১৮ সালে সম্মাননা পেয়েছেন,রাজনগর উপজেলার ধূলিজুড়ার বাসিন্দা আরতি রানি ও অরুণ কুমার। সিলেটের শীতল পাটি-বিশ্ব ঐতিহ্য সিলেট এর শীতল পাটি এখন বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ। জাতিসংঘের অঙ্গসংস্থা ইউনেস্কো বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আবেদনক্রমে ৬ ডিসেম্বর, ২০১৭ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশের সিলেট অঞ্চলের শীতল পাটি বুননের ঐতিহ্যগত হস্তশিল্পকে বিশ্বের ইনট্যানজিবল সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে।
[৬] সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পক্ষে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর এ প্রস্তাবটি প্রণয়ন করেছিল ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় ইউনেসকোর কাছে প্রস্তাবটি দাখিল করেছিল। স্বীকৃতিদানের মূল কাজটি করে ইন্টারগভর্নমেন্টাল কমিটি ফর দ্য সেফগার্ডিং অব দ্য ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :