সমীরণ রায় : [২] আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি সাইদুর রহমান সাইদ বলেছেন, কয়েক দিন আগে রাজধানীতে বেশ কয়েকটি বাসে হঠাৎ আগুন দেওয়া হয়েছে। এটি কিসের ইঙ্গিত। এ ঘটনায় বিএনপি-জামায়াতই জড়িত। কোরো কারণ ছাড়া, হঠাৎ কয়েকটি বাসে অগ্নিসন্ত্রাস। কেন? কী স্বার্থে? কিসের জন্য? এমন ধ্বংসাত্বক কাণ্ড, কার স্বার্থে?
[৩] তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার পরাশক্তি এখনো সরব রয়েছে। তারা যাতে আওয়ামী লীগের কোনো সংগঠনে ঢুকতে না পারে, সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
[৪] মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে মুজিববর্ষের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
[৫] আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক লায়ন শেখ আজগর নস্কর বলেন, আলেম-ওলামা নামের কতিপয় সাম্প্রদায়িক মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদ মন-মগজের মানুষগুলো একটা সময় ‘আমরা সবাই তালেবান, বাংলা হবে আফগান’ স্লোগান দিয়ে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশকে জঙ্গি রাষ্ট্র বানানোর ষড়যন্ত্র করেছিল। এখন নতুন করে ভাস্কর্যকে প্রতীমার সঙ্গে তুলনা করে ইসলামের অপব্যাখ্যা দিচ্ছে। তারা মূলত বাংলাদেশের শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করছে।
[৬] তিনি বলেন, একটি মহল পরিকল্পিতভাবে মিথ্যাচার করলেও এদেশের মানুষ সত্যের পক্ষে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। স্বাধীন-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় এদেশের মানুষ বরাবরই স্বাধীনতাবিরোধীদের প্রত্যাখ্যান করেছে। তবে সরকারের উচিত হবে দেশের সংস্কৃতির ওপর যারা আঘাত করে তাদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা।
[৭] মৎস্যজীবী লীগের প্রচার সম্পাদক কাজী শফিউল আলম শফিকের পরিচালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন কার্যকরী সভাপতি সাইফুল আলম মানিক, সহ-সভাপতি আবুল বাসার, গফুর চোকদার, মুহাম্মদ আলম, মমতাজ খানম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম খান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক কাজী শফিউল আলম শফিক, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম মামুন সিদ্দিকী প্রমুখ।
আপনার মতামত লিখুন :