মনিরুল ইসলাম: [২] ডেপুটি স্পীকার ফজলে রাব্বী মিয়া বলেছেন , জাতির পিতার ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ আমাদের জন্য গৌরবের, এই ভাষণের মধ্য দিয়েই মহান স্বাধীনতার স্থপতি মুক্তি সংগ্রামের প্রয়োজনীয়তা ও ইতিহাস তুলে ধরেছিলেন।
[৩] জাতীয় সংসদ কর্তৃক আয়োজিত এই বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়নে রয়েছে রাজনীতির মহান কবি’র সংগ্রামী জীবনের প্রতিচ্ছবি। বাংলাদেশের সঠিক ইতিহাস জানতে তরুণদের বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন পরিদর্শনের আহবান জানাই ডেপুটি স্পীকার।
[৪] তিনি বলেন, আমরা সকলেই ২৬ মার্চকে স্বাধীনতা দিবস হিসেবে উদযাপন করি। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু কিন্তু এর আগেই ৭ই মার্চের ভাষণের মাধ্যমেই মূলত স্বাধীনতার ঘোষণা দেন তিনি। আর স্বাধীনতার বীজ রোপণ করা হয় ১৯৪৮ সালে, ৫২ এর ভাষা আন্দোলন, ৫৪ এর যুক্তফ্রন্টের নির্বাচন, ৬ দফা, আগরতলা মামলা ও ৭০ এর নির্বাচনসহ সকল ধাপই স্বাধীনতা সংগ্রামের অংশ।
[৫] “একজন মানুষ হিসেবে আমি গোটা মানবজাতি নিয়েই চিন্তিত। একজন বাঙালি হিসেবে বাঙালিদের সাথে সম্পৃক্ত সবকিছুই আমাকে গভীরভাবে ভাবায়। আমার এই নিরন্তর সম্পৃক্ততার পেছনে রয়েছে ভালবাসা, অক্ষয় ভালবাসা, এই ভালবাসা আমার রাজনীতি ও অস্তিত্বকে অর্থবহ করে তোলে।” রাজনীতির মহান কবি’র অসমাপ্ত আত্মজীবনী থেকে নেয়া এই উক্তিটির উল্লেখ করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শুধু একটি নাম নয় তিনি একটি প্রতিষ্ঠান। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী , কারাগারের রোজনামচা প্রতিটি ব্যক্তির পড়া উচিৎ।
[৬] ডেপুটি স্পীকার আরও বলেন, এই প্যাভিলিয়ন পরিদর্শন না করলে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনের অনেক কিছুই জানা হতো না। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় বঙ্গবন্ধুর জীবনের প্রতিফলন এত সুন্দরভাবে তুলে ধরার জন্য স্পীকারকে ধন্যবাদ জানাই।
[৭] পরিদর্শনকালে উপস্থিত জাতীয় সংসদ সচিবালয়, সংসদ টেলিভিশন, বাংলাদেশ টেলিভিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :