সৈয়দ মজুমদার : বাংলাদেশ সম্মিলিত ইসলামী জোট এর হুজুরেরা ‘মূর্তি’ আর ‘ভাস্কর্য’ এর সুন্দর ব্যবচ্ছেদ করে এ দুইয়ের ভেতর তাৎপর্যপূর্ণ পার্থক্য নির্দেশ করেছেন। তারা হযরত আয়শা (রা.) এর ঘরে ছোট মূর্তির উদাহরণ টেনে বলেছেন, সেটা মূর্তি পূজার জন্য ছিলো না, বরং খেলার জন্য ছিলো। তাই রাসুল (সা.) নিষেধ করেননি।
তারা আরও বলেছেন, ১৯৫২ সালের ভাষা শহীদদের স্মরণে নির্মিত শহীদ মিনার, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মরণে নির্মিত জাতীয় স্মৃতিসৌধ, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে নির্মিত শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ এবং ৭ জন বীরশ্রেষ্ঠের নামে স্থাপিত স্মৃতি ভাস্কর্যের সামনে গিয়ে যখন বাংলাদেশের মুসলমানরা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন, তখন তারা কেউই সেখানে ইবাদতের নিয়তে বা প্রার্থনার নিয়তে যান না।
সেখানে জাতীয় ইতিহাস, ঐতিহ্য ও শহীদদের ত্যাগের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা হয় মাত্র সৌদি আরবের জেদ্দার মূল কেন্দ্রে দি ফিস্ট নামে একটি ভাস্কর্য আছে, এটি একটি মুষ্টিবদ্ধ হাতের ভাস্কর্য। আরও আছে ঘোড়ার ও মাছের ভাস্কর্য একইভাবে মুসলিম অধ্যুষিত সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইরান, ইন্দোনেশিয়া ও মিশরে রয়েছে ঘোড়া ও অন্যান্য জীবের ভাস্কর্য।
একথা বলে তারা উপসংহার টেনেছেন এই বলে সুতরাং বলা যায়, ভাস্কর্য জীবের হোক বা জীবদেহের কোনো অংশের হোক, তা যদি শিরক বা পূজার উদ্দেশ্যে নির্মিত না হয়, তবে এতে দোষের কিছু নেই। আমার মনে হয়েছে, অত্যন্ত যুক্তিপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য বিশ্লেষণ। অতএব আপামর গণমানুষের সমর্থন নিয়ে ইতিহাস, ঐতিহ্য রক্ষার্থে বা সম্মান প্রদর্শনার্থে এদেশে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য থাকবে এবং আরও নব, নব দৃষ্টি নন্দন ভাস্কর্য নির্মিত হবে।
আপনার মতামত লিখুন :