ফজলুল বারী : গোল্ডেন মনিরের সম্পদ তদন্তে কি রাগব বোয়ালদের বিষয়গুলো আসবে না বাদ যাবে? রাগব বোয়াল মানে বর্তমান পূর্ত প্রতিমন্ত্রী, সচিব এবং রাজউকের বর্তমান ও সাবেক চেয়ারম্যান। ওয়াকিফহাল সূত্রগুলোর মতে বর্তমান প্রতিমন্ত্রী দায়িত্ব নেওয়ার পরে বিভিন্ন সময়ে গোল্ডেন মনিরের মোবাইল থেকে নানান লেনদেন হয়েছে।
বর্তমান প্রতিমন্ত্রী রাজউক কর্মকর্তাসহ গণপূর্ত বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীকে বিভিন্নজনকে কাজ দেওয়ার জন্য হুমকি দিয়েছেন অনুরোধ করেছেন। বিষয়টি মনিরের মোবাইলের কললিস্ট চেক করলে বা রেকর্ড খুঁজলে অবশ্যই বেরিয়ে আসবে। নাম্বার দুটি +৮৮০১৭৪৭৭৭৭৭৭৩ ও +৮৮০১৭৪৭৭৭৭৭৭২। সচিবালয় কর্মরত অর্থাৎ গণপূর্তমন্ত্রীর বিট করেন এমন সাংবাদিকদের অনেকে জানেন, সচিব শহীদুল হক খন্দকার এর কক্ষে এবং প্রতিমন্ত্রীর কক্ষে বেশিরভাগ সময় মনির তাদের পাশের চেয়ারে বসে থেকে নানান ফাইল স্বাক্ষর করাতেন।
রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান এর কাছ থেকে কোটি কোটি টাকার প্লট অবৈধভাবে তিনি তার নিজের নাম এবং আত্মীয়-স্বজনের নামে করিয়ে নিয়েছেন। মনির একটি দলের কেন্দ্রীয় সম্মেলনের সময় চার কোটি টাকা দিয়েছিলেন। আদায় করেছেন এর কয়েকগুন।
বিশেষ কার্যালয়ের এবং বিশেষ বাসভবনের নিরাপত্তা দায়িত্বে থাকা একটি বিশেষ বাহিনীর প্রধান কে মনির নিজের ভগ্নিপতি হিসেবে পরিচয় দিতেন। সেই সুবাদে মনিরের বাসায় এবং উত্তরায় এবং বিশেষ বাহিনীর প্রধানের বাসায় মনির এবং সচিব শহীদুল্লাহ খন্দকার অসংখ্যবার বৈঠক করেছেন। শহীদুল হক খন্দকার এবং বর্তমান প্রতিমন্ত্রীর মোবাইলের কল লিস্ট চেক করলে মনিরের মোবাইল নাম্বার এর অসংখ্য কল পাওয়া যাবে। শহীদুল্লাহ খন্দকার তার স্ত্রীর চাচতো ভাইকে দিয়ে সিঙ্গাপুরে বৈধভাবে সবজির ব্যবসা করাচ্ছেন।
কিন্তু সেই ব্যবসার আড়ালে রয়েছে মনিরের স্বর্ণ ব্যবসা। যেখানে কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করা আছে। কানাডায় বাড়ি আছে শহীদুল্লাহ খন্দকারের ছেলের নামে। এটা কি তদন্ত হবে। বর্তমান প্রতিমন্ত্রীর স্ত্রী অন্য একটি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব পদে কর্মরত। তাকে খুশি করতে গোল্ডেন মনির বিভিন্ন সময়ে দুবাই থেকে স্বর্ণ গহনা অত্যাধুনিক পোশাক এবং আসবাবপত্র এনে গিফট করেছেন। এসব কি আসবে তদন্তে। শহীদুল্লাহ খন্দকারের পরিবারের সবার চিকিৎসা, ছেলের বিদেশ যাতায়াত সিঙ্গাপুর ও কানাডায় কমিশনের টাকা পাঠিয়ে দিতেন গোল্ডেন মনির। তদন্তে কী আসবে এসব?
আপনার মতামত লিখুন :