শিরোনাম
◈ সয়াবিনের দাম বাড়ানোর সুযোগ নেই: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ উপজেলা নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত বিএনপির ◈ কেউ যেন নিরাপত্তাহীনতায় না থাকি, আইনের শাসনে জীবনযাপন করি: ড. ইউনূস ◈ মা, স্ত্রী ও দুই ছেলে নিয়ে ঢাকা ফিরছিলেন রফিক, পথে প্রাণ গেল সবার ◈ স্থায়ী জামিন না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়েছি: ড. ইউনূসের আইনজীবী ◈ উপজেলার ভোটে এমপি-মন্ত্রীদের হস্তক্ষেপ না করতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ : ওবায়দুল কাদের  ◈ শ্রম আইন লঙ্ঘন: ড. ইউনূসসহ ৪ জনের জামিন ২৩ মে পর্যন্ত বৃদ্ধি ◈ ময়মনসিংহে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ২৬ ◈ ফরিদপুরে বাস-পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত বেড়ে ১৩  ◈ ইরানের হামলার জবাব দেবে ইসরায়েল: সেনাপ্রধান

প্রকাশিত : ২৩ নভেম্বর, ২০২০, ০৯:১৮ সকাল
আপডেট : ২৩ নভেম্বর, ২০২০, ০৯:১৮ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আকতার বানু আল্পনা: যেসব নারী গৃহকর্মী হিসেবে সৌদি কিংবা অন্য মুসলিম দেশে কাজ করতে সব জেনেশুনেই যায়!

আকতার বানু আল্পনা : বিচলিত হই না। নির্যাতিত হয়ে মারা গেছে বা আত্মহত্যা করেছে, সৌদি থেকে এরকম নারী গৃহকর্মীর লাশ আসার খবর শুনলে আগে আমি মনে খুব কষ্ট পেতাম। অবৈধ পথে বিদেশে যেতে গিয়ে মারা গেছে বা দুর্ভোগে পড়েছে, এমন খবর শুনেও ভীষণ খারাপ লাগতো।

আবার এতিমখানার বা মাদ্রাসার কোনো হুজুর বা সিনিয়র ছাত্ররা ছোট ছোট বাচ্চাগুলোকে যৌন নির্যাতন করেছে, এমন খবর শুনলেও আগে আমি রাগে ক্ষোভে ফেটে পড়তাম। এখন আর এসবে আমি মোটেও বিচলিত হই না। কারণ যেসব নারী গৃহকর্মী হিসেবে সৌদি আরব বা অন্যান্য মুসলিম দেশে কাজ করতে যায়, তারা আসলে সব জেনে শুনেই যায়। সেখানকার শেখেদের খাসলত জানে না, এমন একজন মানুষও আমাদের দেশে নেই। না জেনে গেলে এতো লাশ আসার খবর শুনে এতোদিনে নারীদের ওইসব দেশে যাওয়া বন্ধ হয়ে যেতো। সুতরাং মেয়েগুলো সব জেনে শুনে যায় ইচ্ছা করে, তাদের লোভের কারণে।

বাঙালির লোভ খুব বেশি। তারা হঠাৎ বড়লোক হতে চায়। পরিশ্রম করে ধৈর্য ধরে উন্নতি করতে চায় না। দেশে যে কোনো কাজ, ছোটখাটো ব্যবসা, গার্মেন্টসে কাজ, তাও না হলে অন্তত বাসাবাড়িতে কাজ করলেও দিব্যি ভালোভাবে চলতে পারার কথা। তা না করে তারা অতি লোভে পড়ে ভিটামাটি বেচে, অথবা লোন নিয়ে দালালকে দিয়ে হাউজ করে সৌদি যায় শেখেদের মনোরঞ্জনের জন্য। শুনতে খারাপ লাগলেও এটাই আসলে সত্যি কথা। (আমি একবার ইন্ডিয়াতে এক মহিলাকে দেখে ভীষণ অবাক হয়েছিলাম। মহিলার একটা পা হাঁটু পর্যন্ত কাটা। তাতে স্টিলের পা লাগানো।

মহিলা ওই পা নিয়েই স্কুটি চালিয়ে এসে মন্দিরের সামনে বসে ফুল বিক্রি করে সংসার চালান। আমাদের দেশের কোনো মেয়ে হলে কী করতো?) বাঙালির ফুটানিও বেশি। ছোট কাজ, ছোট চাকরি করতে তাদের মানসম্মানে লাগে। অথচ বিদেশে গিয়ে টয়লেট ধুতেও আপত্তি হয় না। যে টাকা দালালকে দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লোকে বিদেশে যায়, ওই টাকা দিয়েই দেশেই দিব্যি যেকোনো ব্যবসা করে অনেক ভালোভাবেই সংসার চালানো যায়। বাঙালি অলসও। দেশে থাকতে তারা কোনো কাজ করবে না। এক একটা নবাব। গ্লাসে পানি ঢেলে খেতে পারে না। অথচ বিদেশে গেলেই রাতারাতি তারা সব কাজে এক্সপার্ট হয়ে যায়। কোনো কাজই তখন আর কঠিন লাগে না।

এতিমখানা বা মাদ্রাসার হোস্টেলে রেখে যারা তাদের সন্তানদের পড়ান, তারাও আসলে সেখানকার পরিস্থিতি সম্পর্কে সব জেনেশুনেই পাঠান। কারণ বেহেস্তের লোভ। নিজেরা নামাজ বন্দেগী করে পরকালের পথ পরিষ্কার করবে, তা না। ছোট ছোট বাচ্চাগুলোকে এতিমখানায় বা মাদ্রাসায় পাঠিয়ে হাফেজ বানাবে। যাতে তাদের ঘাড়ে পা দিয়ে বাবা-মা জান্নাতে যেতে পারে। আর বাবা-মার জান্নাতের লোভের বলি হয় ছোট ছোট বাচ্চাগুলো। যেমন কর্ম, তেমন ফল।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়