সিরাজুল ইসলাম: [২] শিক্ষা ব্যবস্থা সংস্কার দাবিতে শনিবার বিক্ষোভ করেছে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী। তারা সরকার পতন ও রাজতন্ত্রের ক্ষমতা খর্বের দাবিতে চলা কয়েক মাসের আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়েছে। রয়টার্স
[৩] প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান ওচা বৃহস্পতিবার সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশ সব ধরনের আইনকে কাজে লাগাতে পারে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। এরপর স্কুল শিক্ষার্থীদের এ বিক্ষোভই ছিলো সরকারবিরোধী সবচেয়ে বড় প্রতিবাদ কর্মসূচি। ‘ব্যাড স্টুডেন্ট গ্রুপ’ আয়োজিত কর্মসূচি অব্যাহত থাকতে পারে। আগের এক প্রতিবাদ কর্মসূচি সংক্রান্ত অভিযোগে শুক্রবার গ্রুপটির দুই কিশোর নেতাকে তলব করা হয়।
[৪] হাই স্কুলের ১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থী মামিয়াও বলেন, আমরা এখানে এসেছি মুক্তি চাইতে; যা কেড়ে নেয়া হয়েছে। বিক্ষোভে শিক্ষা ব্যবস্থায় অধিকতর স্বাধীনতা ও ন্যায্য আচরণও চাওয়া হয়েছে। অনেকে আবার লৈঙ্গিক সমতার বিষয়টিকেও প্রাধান্য দিতে বলেছেন।
[৫] আমি শিক্ষকদের যৌন নিপীড়নের শিকার হয়ে আসছি। স্কুল এখানে নিরাপদ জায়গা নয়। কথাগুলো লেখা ছিলো ইউনিফর্ম পরা এক শিক্ষার্থীর হাতে ধরা প্ল্যাকার্ডে। শিক্ষা ব্যবস্থার নাজুক দশার প্রতিবাদস্বরূপ ওই শিক্ষার্থী তার মুখ টেপ দিয়ে বেঁধেও রেখেছিলেন। শনিবার ‘ব্যাড স্টুডেন্ট গ্রুপ’ যেসব হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করেছে তার একটি ছিল ‘বাই বাই ডাইনোসরস’।
[৬] থাই সরকারের এক মুখপাত্র বলেন, বিক্ষোভকারীরা আইনের ভেতর থেকে গঠনমূলকভাবে তাদের স্বাধীনতার চর্চা করবেন বলে আশা করেন প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান ওচার। জুলাই থেকে সরকার ও রাজতন্ত্রবিরোধী বিক্ষোভ নিয়ে রাজপ্রাসাদ এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি।