রেহনুমা মোস্তফা : আমার কাছে যে ব্যক্তির কাছে একটি মেয়ে শ্লীলতাহানীর ভয় থেকে নিরাপদ, যে ব্যক্তি পরিবারের নারী সদস্যদের পিতার সম্পত্তিতে নিজ অংশ প্রাপ্তি নিশ্চিত করেন, যে ব্যক্তির কাছে বিচ্ছেদের পরও পুরনো নারীসঙ্গীর গোপনীয়তা ও সম্মান বজায় থাকে, যে পুরুষ ধনী ,প্রভাবশালী ও ক্ষমতাশালী হয়ে যোগ্য, প্রতিভাময়ী ও পিছিয়ে পড়া মেয়েদের নানাভাবে সাহায্য করেন কোনো রকম শারীরিক প্ররোচনা ছাড়াই...।
যে ব্যক্তি তার প্রেমিকাকে একসাথে সারা জীবন থাকার প্রতিশ্রুতি কোনো বৈধ কারণ ছাড়া ভঙ্গ করেন না, যে ব্যক্তির মা বাবা বৃদ্ধাশ্রমে থাকে না, যে ব্যক্তি স্ত্রী ও নিজ মায়ের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করতে সফল হয়, যে ব্যক্তি সহপাঠী, বান্ধবী ও নারী কলিগদের এমনকি অপরিচিত মেয়েদের শরীর ও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে অপরের সাথে বাজে কথা বলেন না এবং শুনেনও না। যে ব্যক্তি বিয়ের সময় তথাকথিত ভদ্র নম্র সতী-সাধ্বী সাদা চামড়ার আত্মমর্যাদাহীন জ্ঞানহীন মেয়ে খুঁজেন না। বিয়েকে ব্যবসার মুনাফা ভাবেন না। সঙ্গিনীর যেকোনো বিপদে ঢাল হয়ে পাশে দাঁড়ান। যে ব্যক্তি নিজের কন্যা ও বোনের জন্য যেমনটা মঙ্গল চান, অপরের কন্যা ও বোনের জন্যও তেমন ভালো চান। দিনশেষে অন্য নারী ও পুরুষ উভয়েই ধর্ম-বর্ণ ও অবস্থানভেদে নির্বিশেষে তার কাছে নিরাপদ।
হ্যাঁ, তারাই পুরুষ, বাকি সব আমার কাছে শুধুমাত্র পুরুষাঙ্গ সম্বলিত কাপুরুষ। হ্যাঁ, আমি মানুষটা খুব ছাপোষা ও প্রতিপত্তিহীন হতে পারি, কিন্তু আমার চারপাশে থাকা সমাজের কাপুরুষগুলোকে আমি পুরুষ দিবসের শুভেচ্ছা জানাতে পারি না। পুরুষ হওয়া এতো সহজ নয়। শুধু এমন পুরুষ মানুষদেরই আমি জানাই আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস এর শুভেচ্ছা। ঘরে ঘরে পুরুষের জন্ম হোক আর কাপুরুষ হয়ে বেঁচে থাকার কি দরকার? কাপুরুষদের মরে যাওয়াই ভালো।
আপনার মতামত লিখুন :