শাহীন খন্দকার: [২] বৃহস্পতিবার হাসপাতালের পরিচালক বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হাসপাতালের তদন্ত প্রতিবেদনে এটা প্রতীয়মান হয় যে, উক্ত রোগীর চিকিৎসা সংক্রান্ত কোনো পর্যায়েই ডা. আবদুল্লাহ আল মামুনের সংশ্লিষ্টতা ছিলো না।
[৩] হাসপাতালের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডা. শাহানা পারভীন আউটডোর টিকেটে প্রয়োজনীয় ওষুধ লিখে দেন। রোগীর সঙ্গে আগত পুলিশ সদস্যদের সিসিতে আউট লিখে স্বাক্ষর দেন। তারপর রোগী আনিসুল করিম, তার বোন, ভগ্নিপতি এবং আগত পুলিশ সদস্যরা হাসপাতাল ছেড়ে যান।
[৪] জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সাইকিয়াট্রিস্টস (বিএপি) বলেছে, পুলিশ কর্মকর্তা আনিসুল করিমের মৃত্যুর ঘটনায় ডা. মামুনের সংশ্লিষ্টতা ছিলো না।
[৫] সংগঠনের ডাকে বুধ ও বৃহস্পতিবার দেশের সব মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ তাদের প্রাইভেট চেম্বারে রোগী দেখা বন্ধ রাখেন। মামুন মুক্তি না পেলে কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন মনোরোগ চিকিৎসকরা।
[৬] সংবাদ সম্মেলনে বিএপির সভাপতি অধ্যাপক ওয়াজিউল আলম চৌধুরীর পক্ষে লিখিত বক্তব্যে অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অধ্যাপক আজিজুল ইসলাম বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের ওই কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। বিডি নিউজ
[৭] উল্লেখ্য সেদিন বেলা ৯টার দিকে রোগীর ভগ্নিপতি এবং উপস্থিত স্বজনরা হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক শাহানা পারভীনের সঙ্গে দেখা করেন। আর রোগীর ভগ্নিপতি ডা. শাহানা পারভীনের পূর্ব পরিচিত। ডা. শাহানা পারভীন রোগীর অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে জরুরিভিত্তিতে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন। কিন্তু তার ভগ্নিপতিসহ অন্যান্য স্বজনরা তাকে ভর্তি করতে অসম্মত হন। দেশ রূপান্তর
[৮] আনিসুল করিমকে পিটিয়ে হত্যার মামলায় ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালের রেজিস্ট্রার আব্দুল্লাহ আল মামুনকে মঙ্গলবার গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেয় পুলিশ। পুলিশ বলছে, আনিসুল প্রথমে মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে গিয়েছিলেন, সেখান থেকে ডা. মামুনই তাকে বেসরকারি মাইন্ড এইড হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব
আপনার মতামত লিখুন :