শিমুল মাহমুদ: [২] অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান বলেছেন, চিকিৎসকের পরামর্শ ও ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই সাধারণ ভাইরাল অসুখ-বিসুখেও (জ্বর, ঠান্ডা, কাশি) উচ্চমাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক সেবনের ফলে ওষুধ কাজ করছে না।
[৩] তিনি বলেন, অপব্যবহার, অতিরিক্ত মাত্রায় ব্যবহার এবং যথাযথভাবে ব্যবহার না করা দ্রুত রোগব্যাধি সারিয়ে তুলতে এক সময়ের আশীর্বাদস্বরূপ আবির্ভূত হওয়া অ্যান্টিবায়োটিক এখন কার্যকারিতা হারিয়ে অভিশাপে রূপ নিচ্ছে।
[৪] শুধু মানুষের জন্য উৎপাদিত ওষুধেই নয়, পোলট্রি ও মৎস্য খামারসহ বিভিন্ন প্রাণীর রোগ সারাতেও উচ্চমাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের অপব্যবহার হচ্ছে, যা পরিবেশের ওপরও বিরূপ প্রভাব ফেলছে।
[৫] ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক বলেন, শুধু আইন করে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স তথা এর অপব্যবহার রোধ করা যাবে না। অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স প্রতিরোধ করা না গেলে ভবিষ্যতে রোগব্যাধি সারাতে ওষুধ পাওয়া যাবে না, মৃত্যুঝুঁকি বাড়বে। সাধারণ মানুষকে সচেতন করে তুলতে ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালাতে হবে।
[৬] অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বন্ধে গণমাধ্যম সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ওষুধ উৎপাদনে জড়িত বিভিন্ন কোম্পানি, চিকিৎসক, প্যারামেডিকস ও ফার্মাসিস্টদেরও সচেতন হতে হবে। প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ বিক্রি বন্ধ করতে হবে।
[৭] বৃহস্পতিবার মহাখালীতে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে মেডিসিনস, টেকনোলজিস অ্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যালস সার্ভিসেসের (এমটিএপিস) সহায়তায় ‘দি ওয়ার্ল্ড অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল অ্যাওয়ারনেস উইক’ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতকালে তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনা সভায় অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স সম্পর্কে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরেরে উপ-পরিচালক মো. সালাউদ্দিন।