রাশিদ রিয়াজ : অক্সফোর্ড ইকোনোমিক্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে করোনাভাইরাসের আগে থেকেই ভারতে অর্থনীতি চাপে ছিল। লকডাউন, কলকারখানায় উৎপাদন পুরোপুরি শুরু না হওয়ায় ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বরং আরো কঠিন চাপে পড়েছে। আগামী দশকের মাঝামাঝি সময়ের আগ পর্যন্ত বিশে^র অন্যান্য বড় অর্থনীতির মতই ভারতের অর্থনীতি বৃদ্ধির হার প্রাক করোনাভাইরাস সময়ের চেয়েও ১২ শতাংশের নিচে স্থির থাকবে। অক্সফোর্ডের দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার অর্থনৈতিক বিভাগের প্রধান প্রিয়াঙ্কা কিশোর বলেন আগামী ৫ বছর ভারতের প্রবৃদ্ধি ভাইরাস পূর্বের প্রবৃদ্ধির চেয়ে সাড়ে ৬ শতাংশ কম থাকবে। শ্রমবাজারের দুর্বলতা, কর্পোরেট ব্যালন্সশিটে চাপ, ব্যাংকের মূলধন উৎপাদনশীলতায় না যাওয়া ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা কোভিড মোকাবেলায় কার্যকর না হওয়ার কারণে ভারতের অর্থনীতিতে কাঙ্খিত গতি লাভ করবে না। প্রিয়াঙ্কা আরো বলেন, দীর্ঘমেয়াদী এধরনের পরিস্থিতি ভারতের অর্থনীতিকে বিশে^র অন্যান্য শীর্ষ অর্থনীতির দেশের মতই বিপাকে ফেলে দিয়েছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারতকে ২০২৫ সালের মধ্যে ২.৮ ট্রিলিয়ন থেকে ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে নিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু করোনাভাইরাস সহ অন্যান্য সংকটে আইএমএফ ভারতের জিডিপি এ বছর ১০.৩ শতাংশ হ্রাস পাবে বলে আভাস দিয়েছেন। এইচএসবিসি পূর্বাভাস দিয়ে বলেছেন ভারতের অর্থনীতি বরং মহামারীর পরও ৫ শতাংশ হ্রাস পাবে যা করোনার আগে ৬ এবং তারও আগে বিশ^মন্দায় ৭ শতাংশ হ্রাস পেয়েছিল। অর্থনীতিতে সবধরনের যোগান সংকটে পড়লেও মানব সম্পদের অবদান অপরিবর্তিত রয়েছে। সংকট থাকবে বিনিয়োগের পুনরুদ্ধার চক্র আরো দীর্ঘায়িত হয়ে পড়ায়।
আপনার মতামত লিখুন :