রাজু চৌধুরী : [২] করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করতে সকাল ১১ টা থেকে বেলা ২.০০ টা পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলমগীর হোসেন, উমর ফারুক ও আলী হাসানের নেতৃত্বে মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়।
[৩] এতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলমগীর হোসেন ইপিজেড এলাকায়, উমর ফারুক নগরীর মুরাদপুর ও বদ্দারহাট এলাকা ও আলী হাসান বায়েজিদ এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন।
[৪] মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক মাস্ক পরিধান না করার কারণে ৪০ জন ব্যাক্তিকে ৩৩০০ টাকা অর্থদণ্ড করেন, আলী হাসান ১৮ জন ব্যাক্তিকে ২৬০০ টকা অর্থদণ্ড করেন ও এস এম আলমগীর হোসেন ৭ জনকে ৮০০ টাকা অর্থদণ্ড করেন। পাশাপাশি মাস্কহীনদের মাঝে মাস্ক বিতরণ করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ।
[৫] জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো.উমর ফারুক বলেন, করোনার সম্ভাব্য সেকেন্ড ওয়েভ প্রতিরোধে মানুষকে সচেতন করার লক্ষে প্রতিদিন ৮ জন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট, বিপনি বিতান, শপিংমল, বাস স্ট্যন্ডে অভিযান পরিচালনা করছি। তিনি বলেন, কয়েকদিনের অভিযানে একটা ইতিবাচক প্রভাব দেখা যাচ্ছে বেশিরভাগ মানুষ মাস্ক পরে বাইরে আসছে।
[৬] তিনি আরও বলেন, মাস্ক নিয়ে জেলা প্রশাসনের ব্যাপক কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে মাস্ক পরতে সচেতন করা। যারা মাস্ক পরতে অবহেলা করছে তাদের অর্থদণ্ড দেয়া হচ্ছে।পাশাপাশি নিম্ন আয়ের মানুষকে মাস্ক দেয়া হচ্ছে। করোনাকালীন সময়ে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধান নিশ্চতকরণে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আলী হাসান বলেন, যারা অবহেলা করে মাস্ক পরেনা এবং ঝুঁকি বাড়াচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাস্ক বিতরণ করা হচ্ছে বলেও জানান। সম্পাদনা: জেরিন
আপনার মতামত লিখুন :