শাহীন খন্দকার : [২] অনেক সময় দেখা যায়, সাধারণ সর্দিকাশির মতো অনেক রোগও শীতকালে বেড়ে যায়। এ্যালার্জি জনিত ঠান্ডাকাশি হাঁপানি শ্বাসকষ্ট জনিত রোগসহ চর্মরোগের অন্যতম কারণ বায়ুর আদ্রতা কমে যাওয়ায় সমস্যাগুলো দেখা দেয়।
[৩] স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার আইএইচআর মাইগ্রেশন হেলথ ইআরডি ও ইনফ্লুয়েঞ্জা কন্ট্রোল প্রোগ্রাম সিডিসি ডিপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার (ডিপিএম) ডা. মোস্তফা মাহমুদ বলছেন, শীতকালে শিশুদের ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার জন্য দায়ী সংক্রামক ভাইরাস ‘রোটা’। পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুরা রোটা ভাইরাসের সংক্রমণে আক্রান্ত হয় বেশি। আর দুই বছরের কম বয়সী শিশুরা আরও বেশি ঝুঁকিতে থাকে।
[৪] ডা. মোস্তফা মাহমুদ বলেন, রোটা ভাইরাসের সংক্রমণে ডায়রিয়া হলে শিশুরা দুর্বল হয়ে পড়ে। এমনকি মৃত্যুও হতে পারে। তবে বর্তমানে রোটা ভাইরাস প্রতিরোধের ভ্যাকসিন পাওয়া যাচ্ছে। রোটা প্রতিরোধে হাসপাতালগুলোতে রোটা রিক্স ও রোটা টেক নামে দুই ধরনের ভ্যাকসিন রয়েছে। যেকোনো একটি ভ্যাকসিন নিয়েই শিশুকে ভাইরাস থেকে নিরাপদ রাখা যায়।
[৫] রোটা টেক তিন ডোজ নিতে হয় এবং রোটা রিক্স দুই ডোজ নিতে হয়। তবে রোটা ভাইরাস ডায়রিয়ার লক্ষণ। সাধারণত কোনো শিশু রোটা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার দুই দিনের মধ্যেও কোনো লক্ষণ দেখা যায় না।
[৬] এই রোগের লক্ষণ হিসেবে প্রথমে জ্বর আসে, বমি শুরু হয় এবং পেট ব্যথা শুরু হয়। সবশেষে পাতলা পায়খানা শুরু হয়। এটি প্রায় ৫ থেকে ৭ দিন থাকতে পারে। তবে বড়দের ক্ষেত্রে এটি ততটা মারাত্মক হয় না।
[৭] যেসব লক্ষণ দেখা দিলে বুঝতে হবে যে রোগীর পানিশূন্যতা হয়েছে তা হলো, কান্না করলেও চোখে পানি না আসা, প্রস্রাব কমে যাওয়া বা ডায়াপার পরালে তা শুকনো থাকা, ক্লান্তি, ঠোঁট শুকনো থাকা, প্রচণ্ড ঘুম পাওয়া, ত্বক শুষ্ক ও বিবর্ণ হওয়া। তাই সাধারণত লক্ষণগুলো সম্পর্কে জানলেই ডাক্তাররা রোটা ভাইরাস ডায়রিয়া আন্দাজ করতে পারেন। তবে নিশ্চিত হওয়ার জন্য অনেক সময় আক্রান্তের মল পরীক্ষা করতে পারেন। সম্পাদনা : জেরিন আহমেদ