ইমরুল শাহেদ: সংগীতশিল্পী অর্ণবের পড়াশোনা শান্তিনিকেতনে। তাই রবীন্দ্রসংগীতে একেবারে শুরু থেকে তাকে পাওয়া গেছে। এবার তাকে পাওয়া যাবে নজরুলসংগীতেও। তবে যে বিষয়টি লক্ষ্য সেটা নজরুল সংগীতে যথাযথ হওয়ার তিনি অন্য একজন ওস্তাদের কাছে তালিম নিয়েছেন। তারপরই তিনি নজরুল সঙ্গীতে হাত দিয়েছেন। প্রথমবারের মতো নজরুল সঙ্গীতে করেছেন সংগীতায়োজন। গানের নাম ‘জাগো নারী জাগো’। আর এটি গেয়েছেন সুস্মিতা আনিস। অর্ণব বললেন, ‘প্রথমবারের মতো নজরুলসংগীতে সংগীতায়োজন করলাম।’ গানটি ১৯ নভেম্বর মুক্তি পেয়েছে।
সুস্মিতা আনিস জানান, একসঙ্গে দুটি গানের রেকর্ড হয়েছিল কলকাতার স্টুডিওতে। প্রায় পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে এগুলো নিয়ে কাজ করছেন অর্ণব ও সুস্মিতা। তিনি বলেন, ‘বেশ সময় নিয়ে গানগুলোর কাজ করা হয়েছে। অর্ণবের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতাও চমৎকার। আশা করছি, গানটি নতুনভাবে আবিষ্কার করবেন শ্রোতারা।’ এদিকে, স¤প্রতি বিয়ে করেছেন অর্ণব। স্ত্রী ভারতীয় গায়িকা সুনিধি নায়েক শান্তিনিকেতনেরই ছাত্রী।
২৮ অক্টোবর পশ্চিমবঙ্গের আসানসোলে বিয়ে করেন তারা। এখনও আছেন কলকাতাতেই। সেখান থেকেই নজরুলসংগীতটি অবমুক্ত হওয়ার সংবাদ দেন এই গায়ক। এটি প্রকাশ হয়েছে কণ্ঠশিল্পী সুস্মিতা আনিসের ইউটিউব চ্যানেলে। অর্ণবের আসল নাম সায়ান চৌধুরী অর্ণব। তিনি একাধারে গায়ক, লেখক. সুরকার এবং বাদক। তিনি সকলের কাছে সুপরিচিত নাম সে যে বসে আছে (২০০৫) এবং তোমার জন্য (২০০৬) অ্যালবামের জন্য। অর্ণব ছিলেন উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের ছাত্র। পরে তাকে শান্তিনিকেতনে পাঠানো হয় শিল্পচর্চা ও পড়াশোনার জন্য। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়ই তিনি ১৯৯৮ সালে ব্যান্ড বাংলা গঠন করেন। এক সময় তিনি ব্যান্ড দল ছেড়ে নিজের একক অ্যালবাম নিয়ে কাজ করতে শুরু করেন। অর্ণবের প্রথম অ্যালবাম চাইনা ভাবিস। তিনি মনপুরা ও আহা ছবির গানেও কন্ঠ দিয়েছেন। সূত্র : উইকিপিডিয়া, বাংলাট্রিবিউন
আপনার মতামত লিখুন :