লিহান লিমা: [২] প্রশাসন বিক্ষোভকারীদের দাবী প্রত্যাখ্যান করার পর বুধবার দিনব্যাপী বিক্ষোভে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ৪০জন বিক্ষোভকারী আহত হওয়ার পর মধ্যরাতে থাইল্যান্ডের বিক্ষোভকারীরা রয়্যাল পুলিশ হেডকোয়ার্টার রঙ আর গ্রাফিতি দিয়ে রাঙ্গিয়ে দেয়। বিক্ষোভকারীরা পুলিশের সদরদপ্তরে কাঁচের বোতল, রংয়ের গ্যালন নিক্ষেপ করে। দেয়ালজুড়ে লিখে দেয় প্রতিবাদী গ্রাফিতি। বৃহস্পতিবার সকালে প্রশাসন পুলিশের হেডকোয়ার্টার সাদা রঙ দিয়ে বার্নিশ করার পরও থেকে যায় প্রতিবাদের বর্ণিল চিহ্ন। রয়টার্স/বিবিসি/আল জাজিরা
[৩]বৃহস্পতিবার সকালে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান ওচা বিক্ষোভকারীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে এক বিবৃতিতে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ, নতুন সংবিধান ও রাজতন্ত্রের সংস্কারের দাবীদারদের বিরুদ্ধে সব আইন প্রয়োগ করা হবে। সহিংসতার ঝুঁকি রয়েছে। এখনই পদক্ষেপ না নেয়া হলে দেশ এবং প্রিয় রাজতন্ত্রের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।’
[৪] গত কয়েক মাস ধরে শিক্ষার্থী ও তরুণদের নেতৃত্বাধীন এই বিক্ষোভে আন্দোলনকারীরা সেনা প্রবর্তিত সংবিধান সংস্কার, ২০১৮ সালে সেনা অভ্যুত্থানে ক্ষমতায় আসা সাবেক সেনাপ্রধান প্রায়ুথ চান ওচার পদত্যাগ ও রাজতন্ত্রের সংস্কারের দাবী জানিয়ে আসছেন। বিক্ষোভকারীরা স্বচ্ছ এবং গণতান্ত্রিক সরকারপদ্ধতির দাবী জানিয়ে বলছেন, জনগণের ভোটে নির্বাচিত একজন এমপিই প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন। থাইল্যান্ডের বর্তমান আইনে দেশটির পার্লামেন্ট একজন অ-নির্বাচিত ব্যক্তিকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দিতে পারে।
[৪] আগামী ২৫ নভেম্বর ক্রাউন প্রপার্টি ব্যুরোর সামনে র্যালি করার পরিকল্পনা করেছেন বিক্ষোভকারীরা।
আপনার মতামত লিখুন :