জাকির আকন : [২] চলনবিলের তাড়াশ উপজেলার বর্তমানে মাঠ থেকে পানি নামার সময় জেলেদের খরা জালে প্রচুর কাকড়া ধরা পড়ছে। তাড়াশ পৌর বাজার , মান্নাননগর বাজারসহ বিভিন্ন অস্থায়ী বাজারে এই ধরা পড়া কাকড়া বিক্রি হচ্ছে ।
[৩] সরজমিনে জানা যায়, চলনবিলের প্রাণকেন্দ্র তাড়াশ উপজেলার বিল থেকে পানি নামার সময় খরা জালগুলোতে বড় বড় আকারের কাকড়া ধরা পড়ছে ।
[৪] পৌর শহরের শুভ হোটেলের সামনে মান্নান নগরের আড়তসহ উপজেলার বিভিন্ন অস্থায়ী মাছের বাজারে ধরা পড়া কাকড়া বিক্রি হচ্ছে ।
[৫] সদর বাজারের কাকড়া বিক্রেতা আবুল কালাম জানান, ওয়াবধাবাধ এলাকায় জেলে রমজান আলীর, রেজাউল করিম সহ কয়েকজন জেলের খরা জালে ধরা গড়া কাকড়াগুলো শহরের এই অস্থায়ী বাজারে প্রতিদিন সকালে বিক্রি করেন ।
[৬] কাকড়া ক্রেতা ও শহরের ব্যবসায়ী দুলাল চন্দ্র জানান তিনি ৩শ টাকা দরে ১ কেজি কাকড়া কিনলেন।
[৭] কাকড়া বিক্রেতারা জানান, পানি চলে যাওয়ার মুহুর্তে এই সময়ের কাকড়া বড় সাইজের হয়েছে এবং একজন জেলে প্রতিদিন ৭ থেকে ১০ কেজি কাকড়া পায় ফলে ৩শ টাকা দরে বিক্রি করা তারা আর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছে । আবুল কালাম আরো জানান বিগত বছর গুলো কাকড়াগুলো পাইকারী আড়তে বিক্রি হতো এবং এবারই প্রথম কাকড়ার দাম ভাল পাওয়ায় জেলেরা কাকড়া ধরে তাড়াশ এলাকার স্থানীয় বাজারে বিক্রি করতে উৎসাহী হয়েছে ।
[৮] তাড়াশ উপজেলা মৎস কর্মকর্তা মো.মশগুল আজাদ জানান, দেশের দক্ষিণ অঞ্চলে সাতক্ষীরা জেলায় বানিজ্যিকভাবে রপ্তানির জন্য কাকড়া চাষ করা হয় । সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :