মুনশি জাকির হোসেন : তারা শিক্ষিত মেয়ে বিবাহ করে বউয়ের কাছ থেকে কাজের বুয়ার সার্ভিস চায়। বাঙালি কাঠমোল্লা নারী শিক্ষার বিরোধিতা করে নিজের বউয়ের চিকিৎসার জন্য নারী চিকিৎসক খোঁজে। তারা মেয়ে বিয়ে দিতে গিয়ে ঘুষখোর, সৎ পাত্র খোঁজে।
তারা ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ জীবনে চরম স্বৈরাচার, ব্রাহ্মণবাদের চর্চার জারি করেও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র-সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য বুক চাপড়ায়। তারা অধিকার ভোগ করে দায়িত্ব অন্যের কান্দে চাঁপাইয়া দেয়। এই বাঙালি এখন এই সমাজ- এই জনপদ থেকে ধর্ম নিরপেক্ষ আচারণ প্রত্যাশা করে। যে জনপদে শিক্ষা, খাদ্য, পোশাক, সংস্কৃতির সর্বত্র ধর্মান্ধতার অর্গানিক চাষাবাদ চলে। যেদিন এই জাতি কুদরত-ই-খোদা শিক্ষা কমিশন থেকে সরে আসা শুরু করেছিল সেদিন থেকেই সর্বনাশের শুরু।
সেই সর্বনাশ এখন সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। এখন যে বা যারা এই সমাজ থেকে, মানুষের কাছ থেকে ধর্মনিরপেক্ষ আচরণ প্রত্যাশা করে তারা হয় বোকার স্বর্গে বাস করে, না হয় তারা রাজনীতির রাও বুঝে না। যেমন বৃক্ষ তেমন ফল। আম গাছে যেমন জাম ধরে না তেমনই এই নষ্ট মগজের সমাজ থেকে মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন, সৃজনশীল, সৃষ্টিশীল, উদারনৈতিক মানুষও তৈয়ার হবে না। এখনোও যদি শিক্ষা কারিকুলামে হাত দেওয়া হয় তাহলেও সেই কাক্সিক্ষত সমাজ পেতে কম পক্ষে দুই যুগ অপেক্ষা করতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :