কামরুল হাসান মামুন: দেশে আদৌ কোন গবেষক আছেন কিনা, আমার সন্দেহ আছে
কামরুল হাসান মামুন: স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বের সেরা ২% বিজ্ঞানীদের একটা লিস্ট করেছে। এই বিষয়ে প্রথম জানতে পারি কলকাতার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কতজন সেই লিস্টে আছেন তার উপর ফেইসবুকে শেয়ার করা একটি রিপোর্ট থেকে। কলকাতার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৩০ জন সেই লিস্টে আছেন। একই কথা খাটে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রেও। আমাদের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ৩ থেকে ৪ জন শিক্ষক/গবেষক আছেন। তাতেই আমাদের কি হৈ হৈ রৈ রৈ ব্যাপার। আমাদের কি লজ্জাও নাই?
কিছুটা কলকাতা এবং বাংলাদেশ ব্যতীত বিশ্বের অন্য কোন দেশে এইটা নিয়ে এত মাতামাতি হয়েছে বলে শুনিনি। এই দেশে সত্যিকারের আদৌ কোন গবেষক আছেন কিনা সেটা নিয়ে আমার প্রচুর সন্দেহ আছে। একজন বিশ্বমানের উচ্চতর গবেষক বা বিজ্ঞানীর একটা ধার আছে, চেহারায় জ্যোতি থাকে। সেই ধার ও সেই জ্যোতি আমি দেখেছি অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলামের মাঝে। আমি দেখেছি আমাদের হারুন স্যারের চোখেমুখে। সেই জ্যোতির্ময় গবেষক বর্তমান বাংলাদেশে একজনও নাই। অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলাম বেঁচে থাকলেও উনার নাম এই লিস্টে আসতো না। আমাদের হারুন স্যারের নামও এই লিস্টে নাই।
জ্যোতির্ময় মানুষেরা তাদের জ্ঞানের আলো দিয়ে অন্যদের আলোকিত করে। এরা দেশ এবং সমাজ নিয়ে ভাবে। এরা পদ পদবির লোভে রাজনীতি করে না। একজন বড় গবেষক কখনো দলান্ধ ও ধর্মান্ধ হতে পারেনা। বিশ্বের সেরা বিজ্ঞানীদের মধ্যে অন্যতম এডওয়ার্ড উইটেন। তিনি বর্তমান আমেরিকার ক্রাইসিস নিয়ে চুপ থাকেননি। অনবরত টুইট করে যাচ্ছেন আর ট্রাম্পের সমালোচনা করছেন। অন্যায়ের প্রতিবাদ করাও জ্ঞানী মানুষদের কর্তব্য। দেশ যখন রসাতলে যাচ্ছে তখন সেই বিষয়ে যাদের কনসার্ন নাই তাদের নিয়ে আমি উচ্ছসিত নই। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :