অমি রহমান পিয়াল: ছাত্রশিবির একবার আচমকা মেইন হোস্টেলের দখল নিলো, ছাত্রলীগের বেশিরভাগ ছেলেই তখন ক্যাম্পাসে, তাই ব্যাপারটা তাগো জন্য কষ্টকর হইলো না। রাতে রুমেই ঘুমানোর সিদ্ধান্ত নিলাম আমরা। তার মানে যুদ্ধ। মেইন হোস্টেলের কাছাকাছি আইসা ব্রেক চাপতে হইলো। কাহিনি কী। ঢোকার মুখে ক্র্যাকার চার্জ আর গুলি করতেছে শিবিরের ক্যাডাররা। সেইটার জবাব দেওয়ার মতো যথেষ্ট সরঞ্জাম থাকার পরও অগ্রবর্তী দল থতমত খাইয়া দাঁড়াইয়া আছে। দোতলায় হোস্টেলের মসজিদ। আক্রমণটা হইতেছে ওইখান থেকে। লীগের পোলাপাইন ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতিতে বিশ্বাস করলেও ধর্মে তো বেশিরভাগই মুসলমান। মসজিদেগুলো করে কেমনে! এক বড় ভাই আগায়া আসলেন, জিগাইলেন কী হইছে তোগো, ডরাইসোছ? কারণটা বলা হইলো তারে। চটকানা মারতে হাতটা উঠায়াও মারলেন না, খালি কইলেন মনে কর আমাগো মসজিদ দখল করছে হালারা, ওইটা দখলমুক্ত করতে হইবো।
অনেকটা আবদুল্লাহ আল কাহতানির কবল থিকা মসজিদ উল হারাম বাঁচানোর মতো ব্যাপার। এরপর দশ মিনিটও লাগেনি হোস্টেল দখল করতে। কয়দিন পর দৈনিক সংগ্রামে একটা ছবি ছাপা হয় যে চমেক লীগের পোলাপাইন নাকি নামাজ পড়ার সময় শিবিরের পোলাপাইনের ওপর গুলি করছে আর মসজিদের দেওয়াল ছ্যাদা বানাইয়া দিছে। বাস্তবে যা হইছিলো তা কভার ফায়ার, মসজিদ লক্ষ্য কইরা হইলেও মসজিদে না। শালারাই পালানোর সময় ভেতরের দেয়ালে ক্র্যাকার মাইরা গেছে। এতোই ইতর, এতোই বদ। গল্পটা শেয়ার করলাম এটা বুঝাইতে মানুষের ধর্মীয় আবেগরে এক্সপ্লয়েট কইরাই জামায়াত আর হেফাজতের টিকে থাকা। তারা আমাদের থেকে বেশি ধার্মিক না, স্মার্টও না। ধর্মরে এদের কবল থিকা উদ্ধার করতেই এদের প্রতিরোধ জরুরি। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :