আব্দুম মুনিব: [২] কুষ্টিয়ার মিরপুর থানার আলোচিত ৮ম শ্রেনীর মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণ মামলায় তিন কার্য দিবসের মধ্যে চার্জগঠন ও স্বাক্ষ্য শুনানী শেষে দেয়া রায়ে মাদ্রাসা সুপার আব্দুল কাদেরের যাবজ্জীবন (আমৃত্যু) কারাদন্ডসহ এক লাখ টাকা জরিমান আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার দুপুর দেড় টায় কুষ্টিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতের বিচারক মুন্সি মো: মশিয়ার রহমান আসামীর উপস্থিতিতে জনাকীর্ণ আদালতে এই রায় ঘোষণা করেন।
[৩] দন্ডপ্রাপ্ত হলেন- মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ ইউনিয়নের স্বরূপদহ চকপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত: সিরাজুল ইসলামের ছেলে এবং স্থানীয় সিরাজুল উলুম মরিয়ম নেছা মহিলা আবাসিক মাদ্রাসার সুপার আব্দুল কাদের(৪২)।
[৪] আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ০৪অক্টোবর মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ ইউনিয়নের স্বরূপদহ চকপাড়া গ্রামের সিরাজুল উলুম মরিয়ম নেছা মহিলা আবাসিক মাদ্রাসার ৮ম শ্রেনীর ছাত্রীকে মাদ্রাসা সুপার আব্দুল কাদের ভোর সাড়ে ৫টা এবং রাত সাড়ে ৮টার সময় তার অফিস কক্ষে ডেকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোড় পূবৃক দু’দফায় ধর্ষণ করেন। এঘটনায় পরদিন ৫অক্টোবর ওই ছাত্রীর পিতা বাদি হয়ে মিরপুর থানায় ঐ মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে ধর্ষণ অভিযোগে মামলা করেন।
[৫] মামলাটি মাত্র ৩ কার্যদিবসে তদন্ত শেষ করে দ:বি: নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আইন-২০০০ ৯এর(১) ধারায় ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা নিশ্চিতসহ আসামীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ মাত্র দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা মিরপুর থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক আতিকুর রহমান।
[৬] কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ বিশেষ আদালতের সরকারি কৌসুলি (পিপি) এ্যাডভোকেট আব্দুল হালিম জানান, গত ৫নভেম্বর, রবিবার মিরপুর থানার আলোচিত মাদ্রাসা ছাত্রী ধর্ষণ মামলাটির চার্জ গঠন করে ওই দিনই অধিকাংশ স্বাক্ষীদের স্বাক্ষ্য শুনানী, আসামীর ১৬৪ধারায় দেয়া স্বীকারোক্তি, ভুক্তভোগীর ২২ধারায় দেয়া জবানবন্দী, ডাক্তারি সনদ, জব্দকৃত আলামত, বিশ্লেষণ ও পর্যালোচনা শেষ করেন বিজ্ঞ আদালত।
[৭] গত তিন দিনের মধ্যে স্বাক্ষ্য শুনানী শেষে আসামী মাদ্রাসা সুপার আব্দুল কাদেরের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে যাবজ্জীবন (আমৃত্যু) কারাদন্ডসহ এক লাখ টাকা জরিমানা আদেশ দেন আদালত। সম্পাদনা: সাদেক আলী
আপনার মতামত লিখুন :