শাহীন খন্দকার : [২] রাজধানীর করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালগুলোর মধ্যে কুয়েত মৈত্রী, কুর্মিটোলা, মুগদা, সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল ফুলবাড়িয়া ঢাকা, বাংলাদেশ স্পেসালাইজড হাসপাতালে ফাঁকা নেই আইসিইউ বেড। হাসপাতালগুলোর আইসিইউ বেডের সংখ্যা কমছে। মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তি বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া যায়।
[৩] বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, করোনা রোগীদের শতকরা ৮০ শতাংশের মধ্যে মৃদু লক্ষণ দেখা দেয়। তাদের হাসপাতালে যেতে হয় না। বাকি ২০ শতাংশের মধ্যে ১৫ শতাংশের উপসর্গ তীব্র হয় এবং হাসপাতালে যেতে হয়। বাকি ৫ শতাংশের অবস্থা থাকে জটিল, তাদের আইসিইউ বেডের পাশাপাশি দরকার হয় ভেন্টিলেটর।
[৪] বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ প্রথম তিন জন করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর মে মাসের মাঝামাঝি থেকে পরিস্থিতির অবনতি হতে শুরু করে। মে মাসের শেষ সপ্তাহ থেকেই রোগী শনাক্তের হার চলে যায় ২০ শতাংশের ওপরে। এ অবস্থা চলতে থাকে আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত। তবে এরপর থেকে শনাক্তের হার কমতে থাক।
[৫] প্রায় এক মাসের বেশি সময় থেকেই শনাক্তের হার ১০ থেকে ১২ শতাংশের মধ্যে ছিল। তবে গত ২ নভেম্বর রোগী শনাক্তের হার বেড়ে দাঁড়ায় ১৩ দশমিক ৪৭ শতাংশে। এদিকে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজধানী ঢাকার হাসপাতালগুলোর আইসিইউতে রোগীর সংখ্যা আবার বাড়তে শুরু করেছে। আইসিইউতে রোগী কেন বাড়ছে জানতে চাইলে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগের প্রধান সহকারী অধ্যাপক ডা. শাহজাদ হোসেন মাসুম বলেন, ভাইরাস আগের চেয়ে আরও বেশি তীব্রতা নিয়ে আক্রমণ করছে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
[৬] আবার ঢাকার বাইরে থেকেও জটিল রোগীদের এখানে পাঠানো হচ্ছে। কারণ, ঢাকার বাইরে আইসিইউ ব্যবস্থাপনা ততো উন্নত না, বলে জানালেন তিনি। অধিদফতরের বিজ্ঞপ্তি জানাচ্ছে, রাজধানী ঢাকার কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতাল ১৬ কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল ১০ এবং মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১৪ , সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল ফুলবাড়িয়া ঢাকা ৬ এবং বাংলাদেশ স্পেসালাইজড হাসপাতালে ১২ আইসিইউ বেডের কোনটিই বর্তমানে ফাঁকা নেই।
আপনার মতামত লিখুন :