গাজীপুর প্রতিনিধি: [২] জেলার কালীগঞ্জে দুই স্ত্রী ও পাঁচ সন্তানের জনকের বিরুদ্ধে চটপটি খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে ১০ বছর বয়সী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী এক কন্যাশিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
[৩] শনিবার রাতে উপজেলা মোক্তারপুরের পোটান গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার মোক্তারপুর ইউনিয়নের পোটান গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে মজিবরকে (৪৫) রোববার বিকেলে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ভিকটিম শিশুটি সম্পর্কে লম্পট ধর্ষকের নাতি।
[৪] ভিকটিম শিশুটির পিতা জানান, গত শনিবার বিকেলে তার শিশু মেয়ে বাড়ির পাশে মজিবরের দোকানে চটপটি খেতে যায়। চটপটি খাওয়ানো কথা বলে শিশুটিকে দোকানে বসিয়ে রাখে লম্পট মজিবর। একপর্যায়ে সন্ধ্যা হয়ে গেলে দোকান বন্ধ করে নির্জন স্থানে নিয়ে রাতভর শিশু মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। এদিকে সন্ধ্যা হয়ে গেলেও শিশু মেয়েটি ঘরে না ফেরায় পরিবারের লোকজন সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজতে থাকে। কিন্তু সারা রাতে কোথাও খোঁজে পাওয়া যায়নি। পরে রোববার সকালে উপজেলার গাজীপুর-ইটাখোলা বাইপাস সড়কের নোয়াপাড়া এলাকায় ভিকটিম শিশুটিকে দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা উদ্ধার করে পরিবারের কাছে নিয়ে যায়। পরে জিজ্ঞাসাবদে ভিকটিম শিশুটি পরিবারের কাছে সব খুলে বলে। এ পরিপ্রেক্ষিতে কালীগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হলে পুলিশ লম্পট মজিবরকে আটক করে।
[৫] তিনি আরো জানান, থানা হাজতে আটক ওই ধর্ষক লম্পট মজিবর ঘটনার কথা স্বীকার করে ক্ষমা চায় এবং মিমাংসার জন্য ধর্ষণের ক্ষতিপূরণ বাবত দুই কাঠা জমি লিখে দেয়ার প্রস্তাব দেয়। প্রস্তাবে রাজি না হয়ে ভিকটিম শিশুকন্যার পিতা সঠিক বিচার চান।
[৬] এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম মিজানুল হক বলেন, অভিযুক্ত গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় ভিকটিম শিশুটির পিতা বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। শিশুটিকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপতালে পাঠানো হয়েছে। শিশুটির ডাক্তারী পরীক্ষা শেষে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :