লিহান লিমা: [২] বৈচিত্র ও ভিন্নতা নিয়ে উলফ ইনস্টিটিউটের দুই বছরের গবেষণার পর দেখা গিয়েছে, বেশিরভাগ মানুষই ভিন্ন জাতি বা গোষ্ঠি থেকে আগত ব্যক্তির সম্পর্কে সহিঞ্চুতা দেখান, কিন্তু ধর্মকে কেন্দ্র করেই নেতিবাচক মানসিকতা সৃষ্টি হয়। গবেষকরা সহনশীলতা পরিমাপ করতে ‘বিয়ে’র মতো সামাজিক বন্ধনকে ব্যবহার করেন। দ্য গার্ডিয়ান
[৩]ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসের ১১ হাজার৭০০জন প্রাপ্তবয়স্কের ওপর চালানো সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ধর্ম অনেক মানুষের জন্যই ‘রেড লাইন’, জাতি বা বর্ণের চেয়ে কারো প্রতি নেতিবাচক মানসিকতা ও ব্যক্তিগত কুসংস্কারের বড় কারণ ধর্ম। বিশেষ করে মুসলিমদের ক্ষেত্রে।
[৪]প্রায় তিন-চতুর্থাংশ অ-কৃষ্ণাঙ্গ বা এশিয়ান বলেছেন, তাদের নিকটাত্মীয় কেউ যদি কালো এশিয়ান কাউকে বিয়ে করে তবে তারা সেটি গ্রহণ করবেন। কিন্তু মাত্র ৪৩ শতাংশ নিকটাত্মীয় কোনো মুসলিমকে বিয়ে করলে সেটি মেনে নেয়ার কথা বলেছেন।
[৫]গবেষণায় দেখা গিয়েছে, অন্যান্য ধর্মাবলম্বী গোষ্ঠিদের দ্বারা সবচেয়ে বেশি নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির শিকার হন মুসলিমরা। আবার সেই সঙ্গে মুসলিমরাও অন্য ধর্মাবলম্বীদের সম্পর্কে নেতিবাচক মানসিকতা পোষণ করেন।
[৬] বয়স ভিত্তিতে ৭৫ এর বেশি বয়সীদের মধ্যে ধর্মীয় কুসংস্কার অনেক বেশি। নারীর চেয়ে পুরুষরা ভিন্ন জাতি, বর্ণ ও ধর্মের কারো সঙ্গে আত্মীয়তা করতে বেশি অস্বস্তি প্রকাশ করেছেন।
[৭]হিন্দু, শিখ, ইহুদি, বৌদ্ধ ও নাস্তিক ব্যক্তিরা নিজেদের কাছের মানুষ কোনো মুসলিমকে বিয়ে করার ক্ষেত্রে অস্বস্তি জানিয়েছেন। খ্রিস্টানদের মধ্যে এই হার কিছুটা কম। অন্যদিকে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম বৌদ্ধ, হিন্দু, ইহুদি, শিখ ও নাস্তিকদের বিয়ের ক্ষেত্রে অস্বস্তি জানিয়েছেন। ১০ জনের মধ্যে ৬ জন মুসলিম খ্রিস্টানদের সঙ্গে আত্মীয়তার বিষয়ে মেনে নেয়ার কথা বলেছেন ।