আশরাফ আহমেদ: [২] সৌদির রিয়াদে কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরের আবু সাঈদ (৪০) নামের এক যুবক দুর্বৃত্তদের হাতে নিহত হওয়ার অভিযোগ করেছে নিহতের পরিবার।
[৩] সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, নিহত সাঈদ উপজেলার সিদলা ইউনিয়নের গড়মাছুয়া গ্রামের মৃত হাফিজ উদ্দিনের ছেলে। নিহতের স্ত্রী নিলুফা (৩৫) জানায়, তার স্বামী তারই এক আত্মীয়ের মাধ্যমে সাড়ে সাত লাখ টাকার দিয়ে তিন বছর আগে একই উপজেলার পুমদি ইউনিয়নের পুমদি গ্রামের মৃত আবদুল খালেকের ছেলে মো. জাহাঙ্গীর আলমের মাধ্যমে সৌদিতে যায়। সাঈদ সৌদিতে জাহাঙ্গীরের অধীনে কৃষি শ্রমিকের কাজ করতো। তারা একই কক্ষে বসবাস করে আসছিল।
[৪] সাঈদের সরলতাকে কাজে লাগিয়ে জাহাঙ্গীর তার (সাঈদের) আকামা লুকিয়ে ফেলে যাতে সে অন্য কোথাও সরে যেতে না পারে। সেই সুযোগে তার কাজের টাকা পুরোটাই নিয়ে যেত জাহাঙ্গীর। এ দিকে সাঈদের ঋণের চাপে তার স্ত্রী গত বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) রাতে ফোন করে সাঈদকে। কিন্তু পরদিন শুক্রবার রাতে সাঈদের মৃত্যুর ছবি প্রতিবেশি আবুল হোসেনের মাধ্যমে জানতে পেরে তার পরিবার। অনেক বার চেষ্টা করেও সাঈদের মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
[৫] অন্যদিকে তার সাথে বসবাসকারীরা সাঈদকে মেরে পালিয়ে যায়। গত রোববার (১৫ নভেম্বর) নিহত আবু সাঈদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় তার মৃত্যুতে শোকের মাতম চলছে। এ সময় নিহতের ভাই আবদুস সালাম জানায়, সেখানে বসবাসরত আবদুল্লাহ নামের একজনের মাধ্যমে জানা যায়, তার ভাই জাহাঙ্গীর এর কাছে তিন লাখ ও আশরাফ নামের আরেকজনের কাছে এক লাখ টাকা জমা রেখে ছিল।
[৬] এছাড়াও সাঈদের ৭/৮ মাসের বেতন ওই জাহাঙ্গীর এর কাছে পাওনা ছিল। এ টাকা চাওয়ার কারণেই তার ভাইকে ওরা মেরে ফেলেছে তার ধারণা। এ সময় পরিবারের লোকজনেরা সরকারের সহযোগিতায় নিহত সাঈদের লাশ দেশে ফেরত আনার জন্য আকুতি নিবেদন করেন। সম্পাদনা: সাদেক আলী
আপনার মতামত লিখুন :