ডেস্ক রিপোর্ট : বাংলাদেশের ফুটবলে কাজী সালাউদ্দিনের চতুর্থ যুগ শুরু হয়েছে জয় দিয়েই। গত মাসেই বাফুফে নির্বাচনে জয়ের পর করোনার মধ্যেই আন্তর্জাতিক ফুটবল মাঠে ফেরানোর সিদ্ধান্ত নেন তিনি। যেই কথা সেই কাজ। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নেপালের বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচ আয়োজন করেছে বাংলাদেশ। তার মধ্যে প্রথমটিতে গত শুক্রবার দুর্দান্ত জয় পায় লাল সবুজের প্রতিনিধিরা।
ম্যাচ জয়ের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে সালাউদ্দিন জানালেন, তার কাছে যদি লক্ষ লক্ষ ডলার থাকত তাহলে ফুটবল দলকে দিতেন। ম্যাচ জয়ের পরেই বাংলাদেশ দলকে ১০ লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়।
দ্বিতীয় ম্যাচে জিতলে আরও পুরস্কার দেওয়া হবে কি না-এমন প্রশ্নে কাজী সালাউদ্দিন বলেন, ‘এটা (পুরস্কার) ম্যাচ বাই ম্যাচ হবে; পারফরম্যান্স বাই পারফরম্যান্স। চ্যাম্পিয়ন হলে ভালো কিছুই পাবে। আই উইশ আমার কাছে হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ ডলার থাকতো, তাহলে আমি ওদের আরও দিতে পারতাম।’
গতকাল শনিবার বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ভবনে জামাল-সুফিলদের পারফর্মেন্স নিয়ে নিজের প্রতিক্রিয়া জানান সালাউদ্দিন। তার মতে, আরও বেশ কটি গোল পেতে পারত জেমি ডের শিষ্যরা। তবুও শেষ পর্যন্ত হাসিমুখে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের হয়ে গোল দুটি করেন নাবীব নেওয়াজ জীবন ও মাহবুবুর রহমান সুফিল। ম্যাচ শুরুর ১০ মিনিটের মাথায় সাদ উদ্দিনের ক্রস ধরে বল পেয়েই দ্রুত জালে জড়িয়ে বাংলাদেশকে লিড এনে দেন মিডফিল্ডার জীবন।
প্রথম গোলের পর দ্বিতীয় গোলের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে ৭০ মিনিট। তবে গোলটি ছিল দৃষ্টিনন্দন। নেপালের ডি-বক্সের একটু আগেই ক্রস থেকে বল পান বদলি হিসেবে নামা সুফিল। তড়িৎ গতিতে এগিয়ে গিয়ে নেপালের রক্ষণভাগের ফুটবলারদের বোকা বানিয়ে কোনাকুনি শটে বল জড়ান জালে। সঙ্গে সঙ্গে গর্জে উঠে পুরো গ্যালারি। এই ২-০ ব্যবধানেই ম্যাচ শেষ হয়।
সালাউদ্দিন বলেন, ‘আসলে এটা একটা ভালো খেলা ছিল। উভয় দলই ভালো খেলছে। বিশেষ করে বাংলাদেশ প্রথমার্ধ ভালো খেলছে, আরও দু-একটা গোল হতে পারত। কেন হয়নি তা ওরাই বলতে পারে। তবুও ভালো ছিল, করোনাভাইরাসের দীর্ঘ বিরতির পর তারা রিকভারি করেছে অনেকটা। আর কিছুটা সময় লাগবে। ফিনিংশটা ভালো হওয়ারই ছিল, কোচরা এটা নিয়েই কাজ করছিল। ফিনিংশ তো আমি কিংবা কোচ করবে না।’
আগামী ১৭ নভেম্বর একই মাঠে একই সময়ে দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নামবে বাংলাদেশ-নেপাল।
আপনার মতামত লিখুন :